সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ কৌশিকী অমাবস্যা৷ শনিবার রাত ১টা ৫২ মিনিট থেকে রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত থাকছে এই অমাবস্যা। এই বিশেষ তিথি উপলক্ষে তারা মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়। মহাভোগ ও মহা রাজবেশ সহকারে মায়ের এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। আজকের এই দিনে তারাপীঠে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য ভক্ত৷
[ধৈর্য ও বিশ্বাসেই মেলে ঈশ্বরের সান্নিধ্য, মা সারদার বাণী শান্ত করে মনকে]
কৌশিকী অমাবস্যার আরেক নাম তারারাত্রি৷ তন্ত্রসাধনার জন্য এই অমাবস্যাকে খুবই গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তন্ত্রশাস্ত্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কৌশিকী অমাবস্যায় পুজো করলে ফলও মেলে৷ মনস্কামনা পূর্ণ হয়৷ কথিত আছে, কৌশিকী অমাবস্যার দিনেই তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় মা তারার অারাধনায় সাধক বামা ক্ষ্যাপা সিদ্ধি লাভ করেন। তাই এই পীঠকে ‘সিদ্ধিপীঠ’ বলা হয়।
[স্বামী বিবেকানন্দের বাণী যা আজও অনুপ্রাণিত করে মানুষকে]
পুরাণে কথিত রয়েছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ অসুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্বর্গের দেবতারা। শেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী কালী শীতল মানস সরোবরের জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো কোশিকা পরিত্যাগ করেন৷ কালো কোশিকা পরিত্যাগের জেরে পূর্ণিমার চাঁদের মতো গায়ের রং হয়ে যায় দেবী কালীর। রং বদলে তিনি হয়ে উঠলেন অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণা দেবী কৌশিকী। কৌশিকী রূপে মহামায়া এই বিশেষ তিথিতেই ‘শুম্ভ’ ও ‘নিশুম্ভ’ নামের দুই অসুরকে বধ করেন। সেই রীতি অনুযায়ী আজও কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে তারাপীঠে মা তারাকে ‘কৌশিকী’ রূপে পুজো করা হয়।
[শ্রাবণ মাসে মহাদেবকে তুষ্ট রাখতে মেনে চলুন এই রীতিগুলি]
অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়৷ দ্বারকা নদীতে স্নান করলে কুম্ভস্নানের মতোই পুণ্যলাভ হয় বলেই মনে করেন কেউ কেউ৷ এই বিশ্বাসের টানেই আজও বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কৌশিকী অমাবস্যার দিনটিতে তারাপীঠ মন্দিরে ছুটে আসেন। শনি ও রবিবার দু’দিন ধরে তারাপীঠে বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ কৌশিকী অমাবস্যার পুজো উপলক্ষে প্রবল ভক্তসমাগমের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷
The post শনি ও রবিবার কৌশিকী অমাবস্যা, জানেন এর মাহাত্ম্য? appeared first on Sangbad Pratidin.