সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে কোথাও যেন লুকিয়ে থাকে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য। আর সেই কারণে অনেক সেলিব্রিটিই এর প্রচারে গররাজি। এবার বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠল জনপ্রিয় প্রসাধনী দ্রব্য প্রস্তুতকারক কোম্পানি ডাভের বিরুদ্ধে। নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছে ওই সংস্থা। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি সাধারণ মানুষের।
[চেম্বারের মধ্যে মহিলার শ্লীলতাহানি চিকিৎসকের, ভাইরাল ভিডিও]
চলতি বছরই বাংলা বিজ্ঞাপনে একগুচ্ছ বানান ভুল করে ক্ষমা চেয়েছিল মোবাইল পরিষেবা সংস্থা এয়ারটেল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল পরবর্তীকালে যে কোনও আঞ্চলিক ভাষার বিজ্ঞাপনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। কিন্তু ডাভ যা করল তাতে বেশ হতাশ ক্রেতারা। তাঁদের অভিযোগ, অতীতেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল ডাভ। আবার গায়ের রং দিয়ে মানুষ বিচার করল সংস্থা। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে, এক কালো মহিলা ডাভ ব্যবহারের পর সাদা বা ফরসা হয়ে উঠছেন। এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসতেই সংস্থার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। যাঁদের মধ্যে অনেকেই জানাচ্ছেন, এই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০১১ সালেও ডাভের বিজ্ঞাপনে বর্ণবিদ্বেষের ছবি দেখা গিয়েছে।
সেই পুরনো বিজ্ঞাপনের ছবিও পোস্ট করেছেন একজন। যেখানে দেখানো হয়েছে ডাভ লিকুইড সোপ দিয়ে স্নান করলে কালো ত্বকের নারীরাও ফর্সা হয়ে উঠবেন। নেটিজেনদের বক্তব্য, বারবার এই বিজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়েই সংস্থা বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা কালো চামড়ার ক্রেতাদের কোন নজরে দেখে। পরিষ্কার শরীর মানে ফর্সা শরীর নয়। তাই এ ধরনের বার্তা মেনে নেওয়া যায় না। শেষমেশ ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আসরে নামে ব্রিটিশ-ডাচ কোম্পানি ইউনিলিভারের অন্তর্ভুক্ত এই সংস্থা। এমন বিজ্ঞাপনের জন্য তাদের তরফে টুইটারে ক্ষমা চাওয়া হয়। যদিও একই কাণ্ড একাধিকবার ঘটানোয় তাদের ক্ষমায় মন গলছে না ক্রেতাদের।
[বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে হিন্দু ও মুসলিম শব্দ সরানোর প্রস্তাব UGC’র]
গুণমানের দিক থেকে অন্যান্য প্রসাধনী দ্রব্যের থেকে ডাভকে এগিয়ে রাখেন অনেকে ক্রেতাই। সাবান থেকে শ্যাম্পু, প্রতিটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে সন্তুষ্ট তাঁরা। কিন্তু ডাভের এহেন বর্ণবিদ্বেষমূলক বিজ্ঞাপন কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। সুতরাং এই ঘটনা তাদের ব্যবসাতেও খারাপ প্রভাব ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য।
The post বিজ্ঞাপনে বর্ণবিদ্বেষী বার্তা, ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে ক্ষমা চাইল ‘ডাভ’ appeared first on Sangbad Pratidin.