সংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান (Galwan valley) সংঘর্ষের পর কেটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। তবুও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি রীতিমতো থমথমে। ভারত ও চিনের কয়েক হাজার সৈনিক মুখোমুখি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)।
[আরও পড়ুন: পাক সেনার উপর হামলা তেহরিক-ই-তালিবানের, নিহত কমপক্ষে ১৫ জওয়ান]
বুধবার তাজিকিস্তানে ‘সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সদস্য দেশগুলির বৈঠকের ফাঁকে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জয়শংকর। দুই দুঁদে কুটনীতিবিদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু যে লাদাখ, তা একপ্রকার স্পষ্ট। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সৈনিকদের মধ্যে হওয়া ভয়াবহ সংঘাতের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চলেছেন জয়শংকর ও ওয়াং ই। বলে রাখা ভাল, লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে চিনকে বেশ কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছিলেন জয়শংকর। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়েছিলেন, গালওয়ান সংঘর্ষ লালফৌজের আগ্রাসনের পরিণাম। এবারও লাদাখ সীমান্তে গোগরা, হট স্প্রিং ও দেপসাং সমতলের মতো সংঘাতের কেন্দ্রগুলি নিয়ে আলোচনা হবে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বলে সূত্রের খবর। তবে এই সাক্ষাৎ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা সময়ই বলবে।
উল্লেখ্য, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে সেনা সরাতে এর আগে কমান্ডার স্তরের বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে দুই ফৌজের মধ্যে। গত বছর লাদাখে লালফৌজের অতর্কিতে হামলার পর থেকেই ওই সব অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। কেবল স্থলপথেই নয় আকাপথেও রয়েছে কড়া নজরদারি। রাফালে, মিগ-২৯ ও সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়মিত উত্তরাঞ্চলের ওই এলাকার সীমানায় আকাশপথে টহল দিচ্ছে। সবদিক থেকেই লালফৌজের পরবর্তী যে কোনও রকমের হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।