সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যোজাত খুদের নাম হতে পারত ‘পাখি’! তা অবশ্য হয়নি। অন্য নাম দিয়েছেন তরুণী মা। তিনি যে গর্ভবতী তা নাকি জানতেনই না। যদিও মাঝআকাশে উড়ন্ত বিমানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গোটা ঘটনায় অবাক বিমানকর্মী থেকে সহযাত্রীরা। অবশ্য সমস্যা হয়নি। কারণ সঙ্গী যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন একজন চিকিৎসক ও এক নার্স। তরুণীকে প্রসবে সাহায্য করেন তাঁরা। তরুণী মা ও সদ্যোজাত খুদে ভাল আছে বলেই জানিয়েছে ডাচ বিমান সংস্থা।
ইকুয়েডরের (Ecuador) বাসিন্দা তরুণী তামারা। ইকুয়েডরের শহর গুয়াকুলি থেকে ডাচ বিমান সংস্থা কেএলএম রয়্যালের (KML Royal) বিমান চেপেছিলেন। বিমানটি যায় আমস্টারডামে (Amsterdam)। তবে তরুণীর গন্তব্য ছিল স্পেন (Spain)। কিন্তু মাঝপথে শরীরে অস্বস্তি শুরু হয় তরুণীর। বিমান তখন কয়েক হাজার ফুট উঁচু আকাশ ছুঁয়ে উড়ছে। পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয় তরুণীর। বাথরুম গিয়ে অস্বস্তি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই তরুণীকে সন্তান প্রসবে সাহায্য করেন সহযাত্রীরা। বিমানে ছিলেন অস্ট্রিয়ার (Austria) এক চিকিৎসক ও এক নার্স। তাঁরাই নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব করান।
[আরও পড়ুন: নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভের ‘শাস্তি’, টেট উত্তীর্ণদের নির্মম ভাবে পেটাল নীতীশের পুলিশ!]
বিমান আমস্টারডামের রানওয়ে ছোঁয়ার পরেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। বিমান সংস্থা কেএলএম রয়্যালের প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন, তামারা ও তাঁর সন্তান ভাল আছে। তরুণীকে প্রসবে সহযোগিতা করায় অস্ট্রিয়াক চিকিৎসক ও নার্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি। বিমানে থাকা অন্য যাত্রীদেরও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। হাসপাতালে যাতে তরুণী মা তামারা ও তাঁর সন্তানের উপযুক্ত চিকিৎসা হয় তার ব্যবস্থা করেছে কেএলএম। খবর দেওয়া হয়েছে তরুণীর পরিবারকে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় এবার রঘুরাম রাজন, রাহুলের সঙ্গে পা মেলালেন RBI-এর প্রাক্তন গভর্নর]
ইতিমধ্যে মাঝআকাশে উড়ন্ত বিমানে জন্মানো সন্তানের নাম দিয়েছেন তরুণী। খুদের নাম হয়েছে ম্যাক্সিমিলিয়ানো। মা যদি বাঙালি হতেন তবে কি হত? তাহলে কি খুদের নাম ‘পাখি’ রাখতেন? হতেও পারে। তবে বিমানে সন্তান প্রসবের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। সেক্ষেত্রেও সন্তান প্রসবে সমস্যা হয়নি।