shono
Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি’র স্ক্যানারে শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটর অয়ন শীল, কে এই যুবক?

ইডি আধিকারিকরা অয়নের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
Posted: 08:24 PM Mar 18, 2023Updated: 08:24 PM Mar 18, 2023

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শুধু শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, ইডি’র স্ক্যানারে নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বড় মাথা রয়েছে হুগলিতে। আর তারই খোঁজে এবার চুঁচুড়ায় শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের বাড়িতেও ইডি হানা দেয়। বিশেষ সূত্রে খবর, কুন্তল-শান্তনুর দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যেতে পারেন অয়ন। শনিবার ইডি আধিকারিকরা বলাগড়ের চাদরায় গঙ্গার পাড়ে বিলাসবহুল একটি গেস্ট হাউসে অভিযান চালায়। চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের বাড়িতেও হানা দেয়। অয়ন বাড়িতে না থাকলেও তাঁর বাবা-মা ছিলেন। ইডি আধিকারিকরা অয়নের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কে এই অয়ন শীল? তাঁর সঙ্গে শান্তনুর কী সম্পর্ক? অয়ন পেশায় প্রোমোটার। কিন্তু তার বাইরে অয়নের আরেকটি পরিচয় রয়েছে। অয়ন বিভিন্ন সময়ে হুগলির বিভিন্ন পঞ্চায়েতে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বছর তিনেক আগে বলাগড়ের ডুমুরদহ ১ পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজে বহাল ছিলেন। সেই কাজে পরবর্তীকালে তিনি ইস্তফা দেন। যেহেতু পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন অয়ন, তাই পঞ্চায়েতের কাজের সমস্ত হিসেবনিকেশ ও চেক সই করার যাবতীয় ক্ষমতা ছিল তাঁর হাতে। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েতের গোটা স্বাস্থ্যদপ্তরই তদারকি করতেন অয়ন।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের ঘোষণা শুনেই কী করেছিলেন? কলকাতায় এসে জানালেন রাজকুমার রাও]

বছর চারেক আগে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এনে চুঁচুড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অয়নের বিরুদ্ধে। সেই সময় চুঁচুড়ায় অয়নের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকশো প্রতারিত। অভিযোগ, শুধু স্কুল নয়। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন অয়ন। চুঁচুড়ার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, অয়নের হাত ধরেই দুর্নীতিতে হাতেখড়ি হয় শান্তনুর। চুঁচুড়ার মানুষের দাবি, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল-সহ বিভিন্ন জায়গায় শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির নেপথ্যে রয়েছেন অয়ন।

সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাগুলিতে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে অয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পুরসভায় চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন জেলায় সে নিজে স্কুল খোলে। পুরো বিষয়টি এক ধরনের আইওয়াশ। সূত্রের খবর, বহু পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। এবং তাঁর স্কুলে যাঁরা ভরতি হতেন তাঁদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পুরসভায় চাকরি দেওয়া হত। আর তাতেই একদিকে অয়ন অন্যদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যানরা ফুলেফেঁপে উঠতেন। তাই ইডির আধিকারিকদের স্ক্যানারে রয়েছেন অয়ন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সমস্ত দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে অয়নের টাকার পরিমাণ। তাই সবাই যখন কুন্তল-শান্তনুর দুর্নীতি নিয়ে সরব তখন ইডি এই দুর্নীতির শিকড়ের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় হানা দেওয়া শুরু করেছে।

[আরও পড়ুন: ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান, জনসংযোগে এবার তৃণমূলের হাতিয়ার ‘হ্যান্ডবুক’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement