shono
Advertisement

এই মৃত্যু উপত্যকা কার দেশ!

হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসিদের হাতেই মারা গিয়েছিল ৬০ লক্ষ ইহুদি।
Posted: 12:36 PM Nov 16, 2023Updated: 12:36 PM Nov 16, 2023

অ‌্যাডলফ হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসিদের হাতেই মারা গিয়েছিল ৬০ লক্ষ ইহুদি। যে-ঘটনা আমাদের ক্রুদ্ধ করে, শোকতপ্তও। তবে, ইজরায়েলের বর্তমান যুদ্ধনীতির সৌজন্যে ইহুদিরা ‘শোষিত’ থেকে ‘শোষক’ তকমায় চিহ্নিত। নেপথ্যের ইতিহাস কী? কলমে সোহিনী সেন

Advertisement

 

র্মান্তরিত হলে হয়তো এত জ্বালা থাকত না। কিন্তু শুরু থেকেই নাছোড় ইহুদিরা। প্রাণ যায় যাক- ধর্ম, ঈশ্বর, বিশ্বাস, সংস্কৃতি তারা কোনও কিছুর বিনিময়ে বিকোবে না। পুব থেকে পশ্চিম, পশ্চিম থেকে পুব- পরিব্রাজন অন্তহীন। পেট চালানোর তাগিদে নিরন্তর চালিয়ে যেতে হয়েছে কায়িক ও মানসিক শ্রম। কিন্তু কোত্থাও মেলেনি দু’-দণ্ড শান্তি। ছিন্নমূল জাতি মার খেয়েছে বারবার, তবু স্বাজাত‌্যভিমান হারায়নি।

Le Juif, Voila L’Ennemi!
The enemy is Judaism!
ইহুদিরাই শত্রু!

ক‌্যাপ্টেন আলফ্রেড ড্রেফাস। ফরাসি সেনাবাহিনীর এই ইহুদি অফিসার জার্মানিকে ফ্রান্সের সেনার গোপন তথ‌্য পাচার করার অভিযোগে ধরা পড়লেন। সাল ১৮৯৪। ১৮৯৬-এ জানা গেল তিনি নন, ‘আসল’ অপরাধী আর-একজন ফরাসি অফিসার-ই, তবে ধর্মে খ্রিস্টান, ইহুদি নন। ১৯০৬-এ ড্রেফাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ হল, এবং তাঁকে ফরাসি সেনাবাহিনীতে পুনর্বহাল করা হলেও ইহুদি-বিদ্বেষের হিংস্রতা ‘প্রগাঢ়তর’ হল। একপ্রকার দুন্দুভি-নাকারা বাজিয়েই। ‘ইহুদিরাই শত্রু’- এই রব প্রকট থেকে ‘প্রকটতর’ হল সারা ইউরোপে।

কেন ‘প্রকটতর’? কেন ‘প্রগাঢ়তর’? কেন সুপারলেটিভ অ‌্যাডজেক্টিভের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে নিরুপায় হয়ে? কারণ, খ্রিস্টধর্মের শুরু তথা মানবসভ‌্যতার ইতিহাসের অন‌্যতম উল্লেখ‌্য কালানুক্রম সূচনার ব্রাহ্মমুহূর্ত থেকেই ইহুদি-বিদ্বেষের শুরু। পশ্চিম তখন দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত: অ-ইহুদি এবং ইহুদি। খ্রিস্টধর্মের সূত্রপাত যাঁর হাত ধরে, সেই যিশু জন্মগতভাবে ইহুদি। অনুগামীদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন ‘মসিহা’- ঈশ্বরের দূত। তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হওয়াকে ‘আত্মত‌্যাগী প্রায়শ্চিত্ত’ (‘বাইবেল’ অনুসারে ‘স‌্যাক্রিফিশিয়াল অ‌্যাটনমেন্ট’- যে-প্রায়শ্চিত্ত ‘মসিহা’ পরিগণিত হওয়ার অন‌্যতম বৈশিষ্ট‌্য। কোনও-না-কোনও উপায়ে মনুষ‌্যকৃত অপরাধ নিজের কাঁধে নিয়ে মানবসভ‌্যতার হয়ে পরম পিতা/শক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে থাকেন ধর্মগ্রন্থবর্ণিত মসিহারা) বলে দাবি করা হল। অন‌্যদিকে ইহুদিদের বক্তব‌্য ছিল, মানুষের পাপের ভাণ্ড এখনও পূর্ণ হয়নি। তাই ‘মসিহা’ আসার ব্রাহ্মমুহূর্তটি আসেনি তখনও। এটুকুই কি ছিল ইহুদিদের ‘অপরাধ’? মূল নিবাসী ইহুদিরা হলেও কিংডম অফ জুডেয়া ও ইজরায়েল (বর্তমানে মানচিত্রগতভাবে ‘দ‌্য স্টেট অফ ইজরায়েল’) তখন পরিচালিত রোমান শাসককর্তৃক। রোমানদের হাতেই যিশু ক্রুশবিদ্ধ হন। অথচ, তাঁর নব‌্য অনুগামী তথা নতুন ধর্মের ধ্বজাধারীরা ধরে নিল তাদের মসিহার হত‌্যার পিছনে দায়ী ইহুদিরাই। শুরু হল যেনতেনপ্রকারেণ ইহুদি উৎখাত। এমনকী পরবাসীও নয়, নরকের কীট হিসাবে পরিগণিত হল কিংডম অফ জুডেয়া ও ইজরায়েলের ভূমিসন্তানরা। ওয়েস্টার্ন ওয়াল (কিং সলোমনের ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের প্রাচীর, যা ইহুদিদের কাছে ‘হোলি অফ হোলিস’ হিসাবে পূজ‌্য। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা ইহুদি এই পবিত্রতম প্রাচীরের দিকে মুখ ঘুরিয়েই প্রার্থনা করে) চত্বর ছেড়ে নিরুপায় হয়ে তারা পাড়ি জমাল পশ্চিমে। তবে মনে-মনে দৃঢ় প্রত‌্যয়ী, একদিন না একদিন সসম্মানে তারা নিজের ‘ঘর’-এ ফিরবেই।

[আরও পড়ুন: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে কি গদি টলমল বাইডেনের?]

পঞ্চম শতকে যখন খ্রিস্টধর্মের রমরমা পশ্চিম বিশ্বে, রাষ্ট্রযন্ত্রর রশি চার্চের হাতে, ইহুদিরা ততদিনে পরিগণিত ‘সাটান’ (শয়তান) হিসাবে। ধর্মগ্রন্থ থেকে ধর্মপুস্তিকা, চার্চ থেকে ধর্মীয় সমাবেত, আপার কাউন্সিল থেকে গৃহস্থর অন্দরমহল, মাঠঘাট-রাস্তা, খেতখামার-কারখানায় প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বাতিল করা শুরু হল ‘এজেন্টস অফ ডেভিল’ ইহুদিদের। ‘মার্ডারার অফ গড’-দের। পাবলিক অফিস, জমি, ঘর তাদের বরাদ্দ করা হয় না; ব‌্যবসা-বাণিজ‌্য, চাষবাস তো দূরের কথা, থাকার ন্যূনতম জায়গা আর খিদে মেটানোর উপকরণটুকু পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া হল। সারা ইউরোপে যাবতীয় যা অবক্ষয়, সবকিছুর জন‌্য দায়ী করা হল ইহুদিদের। পৃথিবীর মাটিতে দাঁড়িয়ে তাদের শ্বাস নেওয়া-ই অপরাধ ও অশুভ হিসাবে গণ‌্য হল। ১৪ শতকে ইউরোপ জুড়ে লোকমুখে প্রচারিত হল- মহাদেশের প্রতিটা কুয়োয় ‘শয়তান’ ইহুদিরা বিষ মিশিয়েছে, যার পরিণাম ‘ব্ল‌্যাক প্লেগ’। মহামারী। তোলুন, বার্সেলোনা, এরফুর্ট, বাসেল, ফ্রাঙ্কফুর্ট, স্ট্রসবার্গ, আরাগন, ফ্ল‌্যান্ডার্স, জুরিখ- জার্মান, পর্তুগাল, স্পেন, ইংল‌্যান্ড, ফ্রান্স- সব মিলিয়ে কম করে পাঁচ-ছয় লক্ষ ইহুদিকে জ‌্যান্ত পুড়িয়ে মারা হল। জ্বালিয়ে দেওয়া হল তাদের ঘরদোর, বিষয়সম্পত্তি।

যত দিন এগিয়েছে, নৃশংসতর হয়েছে ইউরোপের ইহুদি-বিদ্বেষ। ১৮৮১ থেকে ১৯১৪-র মধ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ ইহুদি পূর্ব ইউরোপের অস্ট্রিয়া, পোল‌্যান্ড, জার্মানিতে অভিবাসিত হয়। বছর প্রতি গড় হিসাবে প্রায় ৮০ হাজার জন। এদের মধে‌্য প্রায় ২০ লক্ষ পাড়ি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, তিন লক্ষ সাগর পেরিয়ে প‌্যালেস্তাইন, জেরুজালেম, বেথেলহেম-সহ এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অংশে। সাড়ে তিন লাখ পশ্চিম ইউরোপে। ইহুদিদের শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে ১৮৮০ সালে রাশিয়ার সরকারি স্কুল ও বিশ্ববিদ‌্যালয়ে অ‌্যাডমিশনের জন‌্য সংখ‌্যা বেঁধে দেওয়া হয়। ১৮৯১-’৯২ নাগাদ অন্তত ২০ হাজার ইহুদিকে রাশিয়া থেকে বিনা নোটিসে উৎখাত করা হয়। বিশ শতকের প্রথম ১৫ বছরে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত, গড়ে ১৩ লক্ষ ইহুদি রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে অাসে। বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। উপহাসিত হয়। প্রহৃত হয়। হয় নৃশংসভাবে হত‌্যাও- বলা বাহুল‌্য।

জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তির অন‌্যতম রোমানিয়া। ১৯৪১-এর ১৬ অক্টোবর সোভিয়েতের ওদেসিয়া জয় করে। অবস্থানরত ইহুদিদের অর্ধেক দেশান্তরি হয় রোমানিয়ার আক্রমণের আগেই। ৮০ থেকে ৯০ হাজার জন রয়ে যায়। ১৮ অক্টোবর রোমানিয়ার মিলিটারি হেড কোয়ার্টারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ৬৭ জন মারা যায়। সেই রোষকে শিখণ্ডী খাড়া করে ১৯ হাজার ইহুদিকে পাবলিক স্কোয়‌্যারে নিয়ে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকের গায়ে গ‌্যাসোলিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় জেলে ভরা হয় ২০ হাজার ইহুদিকে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দানলিক গ্রামে। ‘খেলার ছলে’, নিছক ‘মজার জন‌্য’ কিছু ইহুদিকে গুলি করে খুন করা হয়। বাকিদের জ‌্যান্ত পোড়ানো হয়- যথারীতি। প্রাণে বেঁচে পালাতে চাওয়া-দের ফের গুলি করা হয়। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয় দালনিক আর স্লোবোদকা-র ‘ঘেটো’-য়। আগামী তিন মাসে এদের অনেকেই রোগে, খেতে না-পেয়ে মারা যায়। ১৯৪২-এ রোমানিয়ান পুলিশ ওদেসা ঘেটো থেকে ১৯,২৯৫ জন ইহুদিকে বোগদানোভকা, দোমানেভকা, আখমেৎচকা নিয়ে যায়। ১৯৪৩-এ স্থানীয় খঁাটি জার্মানরা বেঁচে থাকা ইহুদি-সহ অন‌্যান‌্য ইহুদিকে মেরে ফেলে স্রেফ ‘হাত গরম করবে’ বলে। ইতিহাসে এই নারকীয় কাণ্ড ‘ওদেসা ম‌্যাসাকার’ নামে পরিচিত।

এগুলো কিছু ‘টুকরো’ উদাহরণ ইহুদি-বিদ্বেষের। অ‌্যাডলফ হিটলার ও নাৎসিদের হাতেই মারা গিয়েছিল ৬০ লক্ষ ইহুদি। এই ঘটনা প্রতিটি বিশ্বনাগরিককে ক্রুদ্ধ করে, শোকতপ্ত করে। তবে খ্রিস্ট-পরবর্তী ২০০০ বছরের ইতিহাস (এবং অবশ‌্যই খ্রিস্ট-পূর্বাব্দ ইতিহাসও) ঘাঁটলে দেখা যায়, ইহুদি নরমেধ যজ্ঞের ধারা একটানা অব‌্যাহত। একটা জাতি কীভাবে স্রেফ ধর্মীয় সন্দেহ আর প্রোপাগান্ডার অন‌্যায় শিকার হয়ে কণ্ঠরুদ্ধ, উচ্ছেদিত, বিতাড়িত, প্রতারিত ও নৃশংস হনন-কাণ্ডের শিকার হয়েছে, তার ব্লু প্রিন্ট ইতিহাসে আছে- তবে ঝাপসা চোখে তা ধরা পড়ে না। ইতিহাস নিজেই নিজেকে রিওয়াইন্ড করে আত্মধৌতি প্রক্রিয়ায় মগ্ন হলে কী হবে জানা নেই।

[আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধে ট্রাপিজের খেলায় ভারত, কোন পথে হাঁটছে মোদি সরকার?]

আসলে ধর্মান্তরিত হলে হয়তো এত জ্বালা থাকত না। কিন্তু শুরু থেকেই নাছোড় ইহুদিরা। প্রাণ যায় যাক- ধর্ম, ঈশ্বর, বিশ্বাস, সংস্কৃতি তারা কোনও কিছুর বিনিময়ে বিকোবে না। পুব থেকে পশ্চিম, পশ্চিম থেকে পুব- পরিব্রাজন অন্তহীন। পেট চালানোর তাগিদে নিরন্তর চালিয়ে যেতে হয়েছে কায়িক ও মানসিক শ্রম (বিশ্ববাসীর কাছে উপহারস্বরূপ ধরা দিয়েছেন অ‌্যালবার্ট আইনস্টাইন, সিগমুন্ড ফ্রয়েড, নিলস বোর, লিও ট্রটস্কি, ইরভিং বার্লিন, রোজালিন ফ্র‌্যাঙ্কলিন, নোয়াম চমস্কি, এলিজাবেথ টেলর, উডি অ‌্যালেন, স্টিভেন স্পিলবার্গ, স্ট‌্যান লি-সহ স্ব-স্ব ক্ষেত্রের জ্যোতিষ্ক)। কিন্তু কোত্থাও গিয়ে মেলেনি দু’-দণ্ড শান্তি। ভিটেমাটি হারিয়ে স্বভূম ছেড়ে ছিন্নমূল জাতি মার খেয়েছে বারবার, তবু স্বাজাত‌্যভিমান হারায়নি। ভূগোল আর মানচিত্র যে-শিকড় উপড়ে নিয়েছিল, তাকে আম্বেলিকাল কর্ডের মতো সযত্নে হৃদয়ে লালন করেছে তারা। আর সঙ্গে ছিল ইহুদিদের পূর্বসূরি আব্রাহামকে ঈশ্বর-প্রতিশ্রুত ‘প্রমিস্‌ড ল‌্যান্ড’-এর স্বপ্ন- সেই ভূমি যা একান্তভাবেই ইহুদিদের হবে। যেখান থেকে তাদের কেউ উৎখাত করবে না। যেখানে অস্তিত্ব সংকট, ক্ষুধা-পিপাসা, অসহায়তা-পরাভবের লেশ থাকবে না। যেখানে শুনতে হবে না ‘পরজীবী’-র শ্লেষ, বক্রোক্তি। যেখানে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার দুঃস্বপ্ন প্রতি রাতে হাজির হবে না। সর্বোপরি যেখানে শান্তিতে বাঁচবে নিজের ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ‌্য ও উত্তরসূরি- যে কোনও মূল্যে। ‘অ‌্যাট এনি কস্ট’। ‘বেখল্‌ মাখির’।

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইহুদিদের সে-স্বপ্ন পূরণ হয়। আদি ভূমি ‘রিগেইন’ করে তারা। স্থানীয় আরবদের সঙ্গে যুদ্ধ-প্রতিযুদ্ধ, ঘাত-প্রতিঘাত, সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ‌্যমে তৈরি করে ‘স্টেট অফ ইজরায়েল’। ইজরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রথম স্বীকৃতি দেয় আমেরিকা। তারপর একে-একে রাশিয়া, পোল‌্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া, যুগোস্লাভিয়া। সেই থেকে, বলা ভাল তার আগে থেকে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েল-প‌্যালেস্তাইন ভূমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মৃতু‌্যমিছিল অব‌্যাহত। ইজরায়েল বিনা যুদ্ধে সূচ‌্যগ্র মেদিনীটুকুও আর দিতে রাজি নয়, বলা বাহুল‌্য। ঘটনা পরম্পরায় ‘অপ্রেস্‌ড’ থেকে ‘অপ্রেসর’-এর তকমায় তারা এখন চিহ্নিত, উত্তীর্ণ।

নিরীহ প্রাণের শোণিতস্রোত- সে যে পক্ষেরই হোক- অদেখা পড়ে থাকে না, ইতিহাস নিজস্ব পদ্ধতিতে পাওনা-গন্ডার হিসাব মিলিয়েই নেয়। এ প্রসঙ্গও স্বতন্ত্র। তবু মরুভূমিতে কাঁটাগাছেরও শরীর চিরে জল পানের আশার মতো যে-প্রসঙ্গ বা প্রশ্ন বুকে খচখচ করে তা হল: অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম, ‘স্ট্রাগল ফর দ‌্য এগজিসটেন্স’-এর বিকল্প তাহলে আর কী? এবং কীভাবেই বা তা করা সম্ভব?

 

তথ‌্যঋণ
হ‌্যারেৎজ্‌ অভীক মুখোপাধ‌্যায়, চন্দ্রনাথ সেন
মেই কাম্প অ‌্যাডলফ হিটলার
জেরুসালেম- দ‌্য বায়োগ্রাফি সিমন সেবাগ মন্টেফিওর
হলোকাস্ট এনসাইক্লোপিডিয়া

bongosofia92@gmail.com

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement