সুপর্ণা মজুমদার: বায়োপিক মানেই যেন বাস্তবের রূপকথা। এবার এই রূপকথার কেন্দ্রীয় চরিত্র নায়ক নয়, নায়িকা। মিতালি রাজ (Mithali Raj)। নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক। পেশাগত এই পরিচয়ের বাইরের মানুষটা কেমন? কীভাবে সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে উঠল তাঁর জীবন? সেই কাহিনিই ‘সাবাশ মিতু’ (Shabaash Mithu) সিনেমায় তুলে ধরেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরিচালনায় মিতালির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নু (Taapsee Pannu)।
সিনেমার দিক থেকে বলতে গেলে ‘সাবাশ মিতু’ যতখানি আবেগের গল্প, ততখানি সমানাধিকারের জন্য লড়াইয়ের কাহিনি। কাহিনি শুরু হয় মিতালি রাজের ছোটবেলা থেকে। প্রতিভার জোরেই কোচ সম্পতের নজরে পড়ে যায় মিতালি। তারপর শুরু হয় প্রশিক্ষণ। ১৯৯৯ সালে মিতালির একদিনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা। সে পর্যন্ত আর পাঁচটা বায়োপিকের মতোই এগিয়েছে গল্প। তারপর শুরু হয় মহিলা এবং পুরুষ ক্রিকেট টিমের তফাতের কাহিনি।
[আরও পড়ুন: অবিকল যেন দীপিকা পাড়ুকোন! বাঙালি মেয়ের ছবি দেখে শোরগোল নেটদুনিয়ায়]
মহিলা-পুরুষের বৈষম্য বহুকাল ধরেই ক্রিকেট জগতে রয়েছে, তা কলকাতায় প্রচারে এসেও বলে গিয়েছিলেন মিতালি। কিন্তু পরিস্থিতি এবং দৃষ্টিভঙ্গী অনেকটাই পালটে গিয়েছে। আর এই দৃষ্টিভঙ্গী পালটানোর ক্ষেত্রে মিতালির অবদান কতটা, তা দেখিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। তাপসী পান্নু মিতালিকে নকল করার চেষ্টা করেননি। বরং একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে নিজের মতো করে বড়পর্দায় তুলে ধরেছেন। তাঁর ক্রিকেটের দৃশ্যগুলি দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু আবেগের দৃশ্যে নায়িকাকে একটু আড়ষ্ট মনে হয়েছে।
আবেগের বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে ‘সাবাশ মিতু’ সিনেমায়। বিশেষ করে ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতে নামার আগে ক্যাপ্টেন মিতালির বক্তব্য ‘চাকদে ইন্ডিয়া’র কথা মনে করিয়ে দেয়। মিতালির কোচের ভূমিকায় বেশ ভাল বিজয় রাজ। ঝুলন গোস্বামীর ভূমিকায় মুগ্ধ করেছেন মুমতাজ সরকার। আর সুকুমারির ভূমিকায় নজর কেড়েছেন শিল্পী মারওয়াহ। ছবিকে অযথা নাটকীয় করে তোলা হয়নি। তবে দ্বিতীয় পর্বের কয়েকটি জায়গায় কাহিনির গতি বেশ কম মনে হয়েছে। সবমিলিয়ে বলতে গেলে এ ছবি দেখতে একবার সিনেমা হলে যাওয়া যেতেই পারে।
ছবি- সাবাশ মিতু
অভিনয়ে- তাপসী পান্নু, মুমতাজ সরকার, বিজয় রাজ, ব্রীজেন্দ্র কালা, শিল্পী মারওয়াহ
পরিচালনায় – সৃজিত মুখোপাধ্যায়