সুপর্ণা মজুমদার: ছোটবেলা বড় সুন্দর। ক্যালেইডোস্কোপের রঙিন কাঁচের মতো স্বপ্ন সাজানো থাকে মনের ভিতর। কিন্তু তিরিশ পর্যন্ত পৌঁছলেই যেন বাস্তবের শক্ত মাটিতে পড়ার পালা। ব্যথা, বেদনাগুলো অনুভব করার পালা। এমনই বাস্তবের কথা আমাজন প্রাইমের ‘জি করদা’ (Jee Karda) সিরিজে বলা হয়েছে।
সাত বন্ধুর কাহিনি নতুন এই সিরিজে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন অরুণিমা শর্মা। স্কুল থেকেই বন্ধুত্ব লাবণ্য (তামান্না ভাটিয়া), ঋষভ (সুহেল নায়ার), অর্জুন (অসীম গুলাটি), প্রীত (অন্যা সিং), শাহিদ (হুসেইন দালাল), শীতল (সমবেদনা সুওয়ালকা) ও মেলরয় (সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়)। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে এই সাতজন। নানা মতে বিশ্বাসী হয়েও পরস্পরের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু কতক্ষণ?
[আরও পড়ুন: ‘সলমনের ডিসপিরিন লাগবে…’, ‘বিগ বস’ থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক পুণীত সুপারস্টার]
বাস্তবের আঘাতে বন্ধুত্বের বিশাল প্রাসাদেও ফাটল ধরে। শুরু হয় চাওয়া-পাওয়া আর বিশ্বাসঘাতকতার খেলা। এই খেলাতেই হারিয়ে যাবে এতদিনের বন্ধুত্ব? প্রশ্নের উত্তর পেতে সিরিজের পরবর্তী মরশুম দেখতে হবে। প্রথম পর্বের আটটি এপিসোডে অতীত ও বর্তমান নিয়ে গল্প সাজিয়েছেন চিত্রনাট্যকাররা। সেখানে প্রথমে সাত চরিত্রকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে লাবণ্য, ঋষভ আর অর্জুনের ত্রিকোণ প্রেমই মুখ্য হয়ে উঠেছে।
তমান্না ভাটিয়াকে মুখ্য চরিত্রই বলা যায়। কিন্তু লাবণ্য ওরফে লাভুর ভূমিকায় আরও প্যাশন প্রয়োজন ছিল। অসীম গুলাটির কেবল লাফাতে থাকা রকস্টারই রয়ে গিয়েছে। লাভু যখন ঋষভের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অজ্জু অর্থাৎ অর্জুনের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মাতছে। অসীমের চোখে তেমন কোনও অভিব্যক্তি চোখে পড়ল না। বাকি চরিত্রদের মধ্যে সমবেদনা সুওয়ালকা, হুসেইন দালালকে ভাল লেগেছে। ‘ফোর মোর শর্টস’-এর মতো আরবান গল্প আমরা দেখেছিল। কিছু সেই ফ্লেভারেই বন্ধুত্বের কাহিনি বলা হয়েছে ‘জি করদা’তে। অবশ্য ‘কাহানি মে টুইস্ট’ এখনও বাকি আছে।
সিরিজ – জি করদা
অভিনয়ে – তামান্না ভাটিয়া, সুহেল নায়ার, অসীম গুলাটি, অন্যা সিং, হুসেইন দালাল, সমবেদনা সুওয়ালকা, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়
পরিচালনায় – অরুণিমা শর্মা