shono
Advertisement

কেমন হল মিমি চক্রবর্তীর ওটিটি ডেবিউ? পড়ুন ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’র রিভিউ

সম্প্রতি হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজ।
Posted: 05:45 PM Jan 08, 2024Updated: 06:02 PM Jan 08, 2024

সন্দীপ্তা ভঞ্জ: রক্ষকই যখন ভক্ষক! ২০০৩ সালে বাপি সেন নামে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট কয়েক জন পুলিশকর্মীর মারেই নিহত হন। ২০০২ সালে বর্ষবরণের অভিশপ্ত রাতের সেই স্মৃতিতে ধুলো পড়ে গিয়েছে ঠিকই, তবে এহেন ঘটনা বারবার সিস্টেমের জং ধরা কল-কব্জার কথা বারবার মনে করিয়ে দেয়। চন্দ্রাশিস রায় পরিচালিত ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ সেই বাপি সেনকাণ্ডের প্রেক্ষাপটেই তৈরি। বাস্তব ঘটনা যখন বিনোদনের মোড়কে আসে, স্বাভাবিকভাবেই সেই সিনেমা কিংবা সিরিজ নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল খানিক বেশিই থাকে। হইচই-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ সিরিজের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।

Advertisement

এই সিরিজ দিয়েই ওয়েব প্ল্যাটপর্মে পা রাখলেন মিমি চক্রবর্তী। ডেবিউ সিরিজে তাঁর অভিনয় যথাযথ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অফিসে, কোর্টকাছারিতে মেয়েদের পদোন্নতিকে যেভাবে বিস্ময়চোখে দেখা হয়, সেই প্রেক্ষিতে আইনজীবী পৃথা রায়ের চরিত্রে যথাযথ অভিনয় করেছেন মিমি। অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ধনঞ্জয়’ ছবির জন্য অবশ্য আইনজীবীর কালো কোট আগেও গায়ে চড়িয়েছিলেন। ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’তে মিমি চক্রবর্তীর অভিনয় পরিমিত। বিশেষ করে কোর্টরুম ড্রামার শেষ দৃশ্যে তিনি দুর্ধর্ষ। তবে বাজিমাত করলেন টোটা রায়চৌধুরী। অভিযুক্ত পুলিশদের আইনজীবী জয়রাজ ‘সিংহ’র চরিত্রের প্রতিটা সংলাপ মনে দাগ কাটে। বরাবরের মতো সাবলীল টোটা। এই পরিসরে তাঁর অভিনয় নিয়ে আর আলাদা করে বলার কিছু নেই। গোটা সিরিজজুড়ে টোটার অভিনয় দারুণ। কোর্টরুমে সম্মুখ সমরে মিমি-টোটা বেশ ভালো।

[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ার ফাঁদ পাতা ভুবনে! ‘খো গয়ে হাম কাঁহা’ তুলে ধরে নেট প্রজন্মের ‘ভালো-মন্দের’ গল্প]

মোট ৬ পর্বের সিরিজ। খুব বেশি দৈর্ঘ্যের নয়। যথাযথ দৈর্ঘ্যের একেকটা এপিসোড। দেখতে বসে একঘেয়ে লাগে না অন্তত। তবে চিত্রনাট্যের বাঁধন আরও পোক্ত হলে মন্দ হত না। শুধু তাই নয়, টোটাকে বাদ দিলে বাকি প্রতিটা চরিত্রের সংলাপ বেশ দুর্বল মনে হয়েছে। সিরিজের শেষ পর্বে যে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছেন পরিচালক চন্দ্রাশিস রায়, সেটা কিন্তু যে কোনও থ্রিলার বা গোয়েন্দা সিনেমা-সিরিজ দেখে অভ্যস্ত দর্শকমনের আগেভাগেই ঠাহর করা কঠিন নয়। সত্যের আঁধারে তৈরি করা সিরিজে বর্ষবরণের রাতে তাপস সাহাকে রাস্তায় ফেলে মারধরের দৃশ্যটা বড়ই খেলো মনে হল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গল্প, সেই সিকোয়েন্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে অন্তত আরেকটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল পরিচালকের। তবে উল্লেখ্য, সস্তা কন্টেন্টের ভিড়ে দেখতে মন্দ লাগে না ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’।

[আরও পড়ুন: Bodhon 2 Review: ‘বোধন ২’ সিরিজে নারী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সন্দীপ্তার, জিততে পারলেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement