সুপর্ণা মজুমদার: কুয়াশা ঘেরা পাহাড় মানেই রহস্যের হাতছানি। সেই আবহে ‘ক্যান্ডি’ (Candy) সিরিজের শুরুটা ভালই হয়েছিল। প্রায় চার নম্বর এপিসোড পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা কাহিনিতে। তারপর থেকেই যেন রহস্যের জাল কাটতে শুরু করে।তাতে জমতে শুরু করে জটিলতার মেদ।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রুদ্রকুণ্ড। সেখানেই আবাসিক স্কুল আরভিএস। নৃশংসভাবে খুন হয় স্কুলের ছাত্র মেহুল। নিখোঁজ হয় তাঁর বান্ধবী কলকি (ঋদ্ধি কুমার)। ঘটনার তদন্তভার বর্তায় ডিএসপি রত্নার উপর (রিচা চড্ডা)। প্রথমে খুনের দায় পৌরাণিক দানব ‘মাসানে’র উপর চাপালেও পরে কলকির বাবাকে খুনি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে কলকিকে খুঁজে পায় স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত (রনিত রায়)। তাঁর আবার ঘোর সন্দেহ, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে রুদ্রকুণ্ডের বিধায়ক মনু রানাউত (মনু ঋষি চড্ডা) এবং তাঁর ছেলে বায়ুর (নকুল রোশন রহদেব) মাদকের ব্যবসা। যা ক্যান্ডি ফ্যাক্টরির আড়ালে চালানো হয়।
[আরও পড়ুন: হিরো আলমের ‘Manike Mage Hithe’ শুনে ঠাট্টা রুদ্রনীলের, শেয়ার করলেন মজার ভিডিও]
আসলে খুনি কে? তা শেষ এপিসোডের আগে বোঝা সম্ভব নয়। প্রথমে গল্প বেশ ভালই লাগছিল। একের পর এক টুইস্টে রহস্যের মেঘ জমে উঠেছিল। কিন্তু চতুর্থ এপিসোডের পর থেকেই যেন গল্প হালকা হতে শুরু করে। রনিত রায় (Ronit Roy) বেশ ভাল অভিনয় করেছেন। তাঁকে পাল্লা দিয়েছেন ঋদ্ধি কুমার (Riddhi Kumar) ও নকুল রোশন সহদেব (Nakul Roshan Sahdev)। রিচা চড্ডা (Richa Chadha) কিছু কিছু জায়গায় অনবদ্য। তবে কিছু কিছু জায়গায় তাঁকে ডিএসপির চরিত্রে বেমানান মনে হয়েছে। ভারী চেহারা নিয়ে অপরাধীর পিছনে ছোটার জন্য বেশ কসরত করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। রণিতের স্ত্রীর চরিত্রে কন্নড় অভিনেত্রী অঞ্জু আলভা নায়েক (Anju Alva Naik) বলিষ্ঠ।
তবে শেষের দিকে গল্পে জটিলতা বেশি। রহস্য উন্মোচনের জায়গাটিও বড় দুর্বল। সেখানেই গল্প শেষ হয়ে যেতে পারত। অযথা পরবর্তী সিজন তৈরির ইঙ্গিত দেওয়াটা খুব প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। সিরিজের দ্বিতীয়, তৃতীয় সিজন তৈরি করা এখন যেন ‘আসছে বছর আবার হবে’র মতো হয়ে যাচ্ছে। তা ‘ক্যান্ডি’র ক্ষেত্রে পরিচালক আশিস আর শুক্লা না রাখলেও পারতেন। কিছু খামতি বাদ দিলে ‘ভুট’ (Voot) প্ল্যাটফর্মের এ সিরিজ মোটের উপর তেমন মন্দ নয়। একবার দেখে নেওয়া যেতেই পারে।
সিরিজের নাম – ক্যান্ডি
অভিনয়ে – রনিত রায়, রিচা চড্ডা, ঋদ্ধি কুমার, মনু ঋষি চড্ডা, নকুল রোশন রহদেব
পরিচালক – আশিস আর শুক্লা