সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া হিসাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফেসবুক৷ প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা৷ যেকোনও ছবি হোক কিংবা ভিডিও ভাইরাল হওয়ারও দ্রুততম মাধ্যম এই ফেসবুক৷ নির্বাচনেও বেশি প্রচার পাওয়ার আশায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি ফেসবুককে মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছিল৷ তাই সেক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তা নতুন করে বলার কিছুই নেই৷
[ আরও পড়ুন: নির্ভরযোগ্য উৎস থেকেই খবর, গুজব রুখতে নয়া পদক্ষেপ ফেসবুকের]
সদ্যই মিটেছে লোকসভা নির্বাচন পর্ব৷ ফলাফলও প্রকাশ হয়ে গিয়েছে৷ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই প্রচারের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াকে৷ তাতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ফেসবুক৷ যেমন ব্রেক্সিট কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই সামাজিক মাধ্যম৷ নির্বাচনী আবহে ভুয়ো খবর প্রচার কিংবা ভুয়ো ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন প্রযুক্তির মারপ্যাঁচে রুখে দিয়েছিল ফেসবুক৷ ভারতের ক্ষেত্রে তার অন্যথা হয়নি৷ এক্ষেত্রেও ফেসবুক ভারতের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ছড়িয়ে পড়া ভুল খবর রুখে দিয়েছিল মার্ক জুকারবার্গ অ্যান্ড কোং৷
[ আরও পড়ুন: প্রযুক্তির আরও উন্নতিতে ফেসবুকে ভুয়ো খবর রুখে দেওয়া সম্ভব, বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল ঠিক কীভাবে নির্বাচনী আবহে যেকোনও ভাইরাল হওয়া ছবি, ভিডিওর সত্যতা যাচাই করছে ফেসবুক৷ ভাইরাল সামগ্রী সত্যতা যাচাইয়ে রীতিমতো গবেষণার বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ সে কারণে একাধিক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ফেসবুক৷ সেই তালিকাও নেহাত কম নয়৷ যেমন রয়েছে লরা অ্যান্ড জন আর্নল্ড ফাউন্ডেশন, দ্য জন এস এবং জেমস নাইট ফাউন্ডেশন, দ্য চার্লস কোচ ফাউন্ডেশন-সহ আরও অনেক৷ যেকোনও পরিস্থিতিতে ভুয়ো খবর রোখাই ফেসবুকের একমাত্র লক্ষ্য৷ তাই বাধ্য হয়েই এহেন নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের৷ ভবিষ্যতে ফেসবুকের নিরাপত্তা এবং ছবি-ভিডিওর সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে৷
The post নির্বাচনী আবহে ভুয়ো খবর রুখতে কী উদ্যোগ নিয়েছিল ফেসবুক? appeared first on Sangbad Pratidin.