সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) প্রায় ২০ মিনিট মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাঁদের জন্য। অথচ, বিক্ষোভরত কৃষকরা নাকি সেকথা জানতেনই না। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যে ওই রাস্তায় আসবেন, সেটা তাঁদের অজানা ছিল। পুলিশ বলার পরও নাকি কৃষকদের বিশ্বাস হয়নি যে মোদি তাদের জন্য আটকে আছেন।
গতকাল পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে যে কৃষক সংগঠনটি বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, সেই ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির (BKU Krantikari) নেতা সুরজিৎ সিং ফুল বলছেন, “কৃষকদের কোনও ধারণাই ছিল না যে ওই রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন। আমরা জানতাম ভাতিণ্ডায় যখন বড়সড় হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই হেলিকপ্টারেই ফিরোজপুর যাবেন।” সুরজিত সিং ফুলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যাবেন জানলে তাঁরা রাস্তা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতেন না।
[আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত? জেনে নিন কী জানাল ভারত বায়োটেক]
ওই কৃষক নেতার বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিয়ে কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি। আন্দোলনে মৃত কৃষকদের পরিবারকে কোনওরকম সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে আমরা ১৮টি কৃষক সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। আমাদের কর্মসূচি ছিল ফিরোজপুরে ডেপুটি কমিশনারের অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর। কিন্তু পুলিশ আমাদের রাস্তাতেই আটকে দেয়। তাই আমরা রাস্তায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করি। আমরা জানতাম না যে প্রধানমন্ত্রী ওই রাস্তায় যাবেন। দুপুর দু’টো নাগাদ পুলিশ আমাদের বলে প্রধানমন্ত্রী আসছেন রাস্তা ফাঁকা করে দিন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করিনি। ভেবেছিলাম, রাস্তা ফাঁকা করতে মিথ্যা বলছে পুলিশ। কারণ, আমরা জানতাম প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাবেন। তাঁর সফরসূচি বদলে গিয়েছে সেটা আমাদের জানা ছিল না।”
[আরও পড়ুন: মোদির নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শুনানি শুক্রবারই]
ওই কৃষক সংগঠনের নেতা বলছেন, জানলে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর রাস্তা আটকে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতেন না। তাঁর নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করার পরিস্থিতি তৈরি হত না। যদিও, এই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে নারাজ ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির নেতা। তাঁর সাফ কথা, বিক্ষোভ প্রদর্শন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা বিক্ষোভ দেখিয়ে কিছু ভুল করিনি। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই।