সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) কারণে দেশের অর্থনীতি বিধ্বস্ত। তার মধ্যেই আশার কথা শোনাল কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। চলতি বছর ভাল বৃষ্টি হওয়ার দরুণ খারিফ শস্য, অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে যে শস্যের বীজ রোপণ করা হয়, তার ফলন হয়েছে যথেষ্ট। অনেকে আশা করছেন, অর্থনীতির দুর্দশা কাটাতে কিছু মাত্রায় সহায়ক হতে পারে কৃষি।
করোনা অতিমহামারী বাদে ২০২০ সালে বন্যার ধাক্কাও সামলাতে হয়েছে দেশের কয়েকটি অঞ্চলকে। এরপরেও শুক্রবারের একটি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে খারিফ চাষ হয়েছে ১০৮২ লক্ষ হেক্টর জমিতে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১০১০ একর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে সাত শতাংশ। খারিফ শস্যের মধ্যে প্রধান হল ধান, তৈলবীজ এবং ডাল। সরকার যেভাবে চাষিদের থেকে শস্য সংগ্রহ করেছে, তাতে লাভবান হয়েছে কৃষি। লকডাউনের মধ্যেও ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (Food Corporation Of India) চাষিদের থেকে শস্য সংগ্রহ করেছে এবং তাদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যেই পঙ্গপাল হানা ঠেকানো গিয়েছে’, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর]
এর আগে ২০১৬ সালে ১০৭৫ একর জমিতে খারিফ শস্যের চাষ হয়েছিল। গত পাঁচ বছরে গড়ে ১০৬৬ একর জমিতে খারিফ চাষ হয়েছে। এবছর বেশি জমিতে চাষ হওয়ার কারণ দু’টি। প্রথমত ভাল বৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত কোভিড অতিমারীর মধ্যেও সরকার চেষ্টা করেছে যাতে চাষের ক্ষতি যথাসম্ভব কম হয়। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, “খারিফ চাষের জমির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ এখনও অনেক জায়গায় কৃষকরা ধানের বীজ বপন করছেন। তাঁর কথায়, “চলতি বছরে ফসলের উৎপাদন হবে রেকর্ড পরিমাণে। মোট ২৯ কোটি ৮০ লক্ষ টন ফসল উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: অজানা রোগে মৃত্যু চিংড়ির, করোনা আবহে নয়া বিপদে চিন্তিত রাজ্যের মৎস্যজীবীরা]
The post ভাল বৃষ্টিপাতে খারিফ শস্যের রেকর্ড ফলন, ফিরতে পারে অর্থনীতির হাল appeared first on Sangbad Pratidin.