সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো মানেই প্যান্ডেল হপিং। দিনভর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, হইহুল্লোড়। কী ম্যাটেরিয়ালের শাড়ি পরলে দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াতে পারবেন, ঝটপট জেনে নিন।
জামদানী
ভ্যাপসা গরমে শাড়ি পরতে অনেকেই পছন্দ করেন না। ঘামে প্যাঁচপ্যাঁচে শরীরে শাড়ি যেন আরোই বিরক্তিকর লাগে! সেক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে তা হলে জামদানী বেছে নিন। রাতের বেলা হলে ডিপ রংয়ের ঢাকাই জামদানি বাছুন। আর দিনে হালকা রংয়ের শাড়ি পরুন। তার সঙ্গে রুপো বা হালকা সোনার গয়না। কানে থাকুক ঝুমকো। আর মানানসই মেকআপ। জমে যাবে। খোপা করলে জুঁই ফুলের মালায় সাজাতে ভুলবেন না।
মলমল
মলমলের শাড়ি এতই নরম যে পরলে মনে হবে গায়ে কিছুই দেননি। গরমের দিনে রোজকার পরার জন্য এই শাড়ি অতুলনীয়। তার সঙ্গে হালকা রূপোর গয়না কিংবা অক্সিডাইজের গয়না পরুন। দিব্যি মানাবে। মলমলের উপর নানা রকম প্রিন্টের রংবেরঙের শাড়ি পেয়ে যাবেন।
মসলিন
পুজোয় দিনভর ঘোরার ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে বাছুন মসলিন। খুব আরাম পাবেন। মসলিন ম্যাটেরিয়ালের শাড়ি ভীষণ হালকা, আর ততটাই আভিজাত্য আসে লুকে। এক্ষেত্রেও সোনা কিংবা রুপোর ভারী গয়নার সঙ্গে পরতে পারেন।
শিফন বেনারসি
রাতের বেলা ঘুরতে বেরনো বা পাড়র অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিতে পারেন। একেবারে হালকা, অথচ বেনারসির মতো কাজ। শিফন বেনারসি একেবারে পারফেক্ট। গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে একেবারে। এছাড়াও ভারী চেহারা হলে এই শাড়ির একটি সুবিধে হল ফুলে না থাকার কারণে দোহারা গড়ন দেখায়।
চান্দেরি
হালকা অথচ আভিজাত্যে পরিপূর্ণ চান্দেরি। যে কোনও অনুষ্ঠানে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন। চান্দেরি যেহেতু একটু ঝলমলে হয়, তাই এক্ষেত্রে গয়না খানিক বুঝেশুনে বাছুন। দক্ষিণী প্যাটার্নের গয়নার ডিজাইন এক্ষেত্রে দারুণ মানাবে।