আকাশ মিশ্র: প্রায় ৬ ঘণ্টার সিরিজ। প্রতিটা এপিসোডই মেরেকেটে ৪০ মিনিট থেকে ৫০ মিনিট। শেষ দুটি সিরিজ আরেকটু বেশি। তাই 'সিটাডেল: হানি বানি' দেখা শুরুর আগেই মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকুন। কেননা, এই সিরিজ থেকে অন্যতম প্রাপ্তিই হল দুরন্ত অ্যাকশন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত হলিউডে তৈরি 'সিটাডেল' সিরিজ দারুণ জনপ্রিয়। এই সিরিজ গোটা বিশ্বে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, ভারতীয় সিরিজ নির্মাতারা প্ল্যান করে ফেলেছিল, একেবারে ভারতীয় ছাঁচে ফেলে 'সিটাডেল'-এর গল্প বলবে। হলও তেমন, পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন, রাজ নিধিমারু ও কৃষ্ণ ডি কে। বলিউডে থ্রিলারধর্মী ছবির ক্ষেত্রে রাজ নিধিমারু ও কৃষ্ণ ডি কে খুবই জনপ্রিয়। বরং বলা ভালো গুপ্তচর নিয়ে ছবি করার ক্ষেত্রে বেশ পটু এই দুজন। 'সিটাডেল: হানি বানি'র ক্ষেত্রেও এই একই ফর্মূলা কাজে লাগালেন এই দুই পরিচালক। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ইংরেজি সিটাডেলকে কি মাত দিতে পারল এই সিরিজের ভারতীয় সংস্করন?
একটু গল্পটা ছুঁয়ে যাওয়া যাক। সিরিজের গল্প তৈরি হয়েছে দুই গুপ্তচর সংস্থার লড়াইকে কেন্দ্র করেই। আর গল্পের অনুঘটক হিসেবে রয়েছে সিটাডেল নামক এক প্রযুক্তি। আর দুই গুপ্তচর সংস্থার বন্ধুত্ব, প্রেম, পারস্পরিক বোঝাপড়া, শত্রুতা, প্রতিশোধ এসব নিয়ে এর গল্প এগোয়।
তবে এই সিরিজের আসল সমস্যাই হল, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। বরুণ ধাওয়ান, সামান্থা রুথ প্রভু, কে কে মেনন, সিকন্দর খেরের মতো মারকাটারি অভিনয়কে একফ্রেমে আনতে গিয়েই যত গণ্ডগোল। এই সব অভিনেতাদের সঠিক স্ক্রিনটাইম দিতে গিয়েই গল্প একেবারে ঘেঁটে ঘ। তার পর রয়েছে অহেতুক অ্যাকশন। যা অনেক সময়ই গল্পকে ছাপিয়ে যায়। একটা সময়ের পর যা কিনা বিরক্তি তৈরি করে।
অভিনয়ের দিক থেকে বরুণ ধাওয়া, কে কে মেনন সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে। তবে সামান্থা ও বরুণের জুটি দেখতে মন্দ লাগে না। এই ছবির অন্যতম শক্তপোক্ত উপাদান হল অসাধারণ সিনেম্যাটোগ্রাফি। যা এই সিরিজকে টান টান করে তোলে। তবে অ্য়াকশনের চাপে পড়ে যে সম্পর্কের নানা ছায়া তৈরি করছিলেন পরিচালক। তা কিন্তু সিরিজ শেষে পরিষ্কার থাকে না। ফলে গল্পে এগিয়েও ধোঁয়াশা থেকে যায়। অবশ্য়ই 'সিটাডেল: হানি বানি'র প্রথম সিজন। আশা করা যায়, দ্বিতীয় সিজনে ধোঁয়াশা কাটানোর চেষ্টা করবেন পরিচালক জুটি রাজ নিধিমারু ও কৃষ্ণ ডি কে।