সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল, ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে ফিনল্যান্ড। অবশেষে সরকারি ভাবে সেই ঘোষণা করল সেদেশের সরকার। প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এবং প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ গ্রহণ করতে আগ্রহী তাঁরা। আগামী সপ্তাহ থেকেই সদস্যপদ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডের (Finland) ন্যাটোয় যোগ দেওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। এমনকী, রাশিয়ার তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখা হয়েছে। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন-এই দুই দেশ ন্যাটোয় (NATO) যোগ দিলে ফল ভাল হবে না, এমন বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার পক্ষ থেকে। ওই দুই দেশ যদি ন্যাটোয় যোগ দেয় তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বাল্টিক সাগরে স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। কিন্তু এরপরও নিজেদের দাবি থেকে যে সরে আসেনি ফিনল্যান্ড, তা পরিষ্কার হয়ে গেল রবিবাসরীয় ঘোষণায়।
[আরও পড়ুন: ‘শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়েছিল ভারতেরও’, দাবি দ্বীপরাষ্ট্রের সাংসদের]
প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া (Russia)। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তড়িঘড়ি ন্যাটোর সদস্যপদ নিতে চাইছে ফিনল্যান্ড, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই কারণে সুইডেনও হাঁটতে চাইছে ফিনল্যান্ডের পথেই। নিজের সীমান্তের আশেপাশে ন্যাটোর উপস্থিতি মোটেই বরদাস্ত করতে চায় না রাশিয়া। ইউক্রেনও ন্যাটো সদস্যপদ নিতে চেয়েছিল বলেই রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে অভিমত অনেকেরই।
দু ‘মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও ইউক্রেনের দখল নিতে ব্যর্থ রুশ সেনাবাহিনী। রবিবারই জানা গিয়েছে, পুরোপুরিভাবে রাশিয়ার থেকে খারকভ ছিনিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। সমগ্র ইউক্রেনের বদলে শুধুমাত্র পূর্ব ইউক্রেনকে নিজেদের দখলে আনতে যে নীল নকশা তৈরি করেছিল রাশিয়া, তা বিশ বাঁও জলে। মারিওপোলে সাফল্য এলেও বাকি ক্ষেত্রে স্রেফ ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু পায়নি মস্কো। এহেন পরিস্থিতিতে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিলে ক্রেমলিনের অস্বস্তি যে বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই।