সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (JharKhand) জামশেদপুরে (Jamshedpur) এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ জনকে। এদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা রয়েছে জেল হেফাজতে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে। নাবালকের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের নাম শঙ্কর টিউ, রোশন কুজুর, সূর্য পাত্র ও সানি সোরেন। অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
জামশেদপুরের বাগবেরা অঞ্চলের বাসিন্দা ওই কিশোরী গত মঙ্গলবার তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকাকালীন আচমকাই চড়াও হয় অভিযুক্তরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করা হয় তাদের দু’জনকে। সেখান থেকে কালিয়াদহ গৌশালায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে কিশোরীর পুরুষ বন্ধুকে বেঁধে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট তামিল ভানান একথা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: হাথরাসের নির্যাতিতার বাড়িতে ‘সন্দেহজনক’ মহিলার যাতায়াত! চক্রান্তের অভিযোগ পুলিশের]
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনার পরেই পুলিশ একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। মেয়েটি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, সে নাচের ক্লাস থেকে ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে দেখা গিয়েছে সে নাচের ক্লাসে যায়নি।’’ কিশোরীর বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গেও।
হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর থেকে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবিতে সরব গোটা দেশ। দেশে বাড়তে থাকায় যৌন নির্যাতনের ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। ধর্ষণের তদন্ত শেষ করতে হবে দু’মাসে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র।