দুলাল দে: অবশেষে আইএসএল নিয়ে জট কাটতে চলেছে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তিন সদস্যের বিশেষ কমিটির থেকে দেশের শীর্ষ লিগের জন্য যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রস্তাব রেখেছে, তা সম্মতি জানাতে চলেছে ক্লাবগুলি। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ২৯ ডিসেম্বর। ফলে সব ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে আইএসএলের বল গড়াতে পারে। বছর শেষে সেটুকু আশার বাণী উঠে এল তিন সদস্যের কমিটির সঙ্গে ক্লাবগুলির বৈঠকে।
বুধবারই ক্লাব প্রতিনিধিরা আলোচনা করে ঠিক করেছিলেন, শুক্রবার ফের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। ক্লাব প্রতিনিধিরাও সেরকম আইএসএলের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির জন্য কিছু পথের কথা জানিয়েছিলেন। তখন ঠিক হয়েছিল, দু’পক্ষই নিজেদের মতো করে আইএসএলের জন্য প্রস্তাব তৈরি করবে। সেগুলিই ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয় শুক্রবার। সেখানে মোটামুটি দু'পক্ষই সহমত।
ঠিক কোন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে? আইএসএলের ক্ষেত্রে ক্লাব, ফেডারেশন, কর্মাশিয়াল পার্টনার সব পক্ষেরই অংশীদারিত্ব থাকবে। অনেকটা যেরকম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে থাকে। ভারতের ক্ষেত্রে এই অংশীদারিত্ব হবে এরকম- ক্লাব ৫০ শতাংশ, ফেডারেশন- ১০ শতাংশ, কমার্শিয়াল পার্টনার-৩০। বাকি ১০ শতাংশ প্রেফারেন্সিয়াল রেভিনিউ শেয়ার। উল্লেখ্য, এফএসডিএল অনেক আগেই ক্লাবগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আইএসএল আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সেখানে অংশীদারিত্ব ছিল অন্যরকম। সে যাই হোক না কেন, এফএসডিএল আর ক্লাবরা এটাই তো চাইছিল এতদিন ধরে। এভাবে প্রস্তাব সত্যিই গৃহীত হয় তাহলে ক্লাবগুলি খেলবে।
আইএসএলের জন্য প্রতিটি ক্লাবকে ১ কোটি টাকা করে দিতে হবে। অর্থাৎ ১৪ কোটি টাকা এমনিতেই ফেডারেশনের পকেটে ঢুকছে। তার উপর লাভ হলে সেটার অংশ তো আছেই। তবে ক্ষতি হলে সেটার দায়ও নিতে হবে। আগামী মরশুমে অবনমন না থাকলেও পরে থাকবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনও দল অবনমনে চলে যায়, তাহলে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তারা 'প্যারাস্যুট পেমেন্ট' পাবে। যদিও সেই পরিকল্পনা বাস্তব করার জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি। ক্লাবগুলোর চূড়ান্ত সম্মতি, সম্প্রচারের জন্য ফের টেন্ডার ডাকা ইত্যাদি কাজ বাকি রয়েছে। তবে ২৯ ডিসেম্বর সম্ভবত এই বছরের লিগের তারিখ জানা যেতে পারে।
