স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় কোচ খালিদ জামিল কয়েকদিন আগেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন জাতীয় শিবিরে একাধিক ক্লাব এখনও ফুটবলার না ছাড়ায়। এমনকী শিবির শুরু হলেও একটা সময় এমন ছিল রক্ষণের ফুটবলার বলতে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র দু'জন ফুটবলার। একজন ভালপুইয়া, অন্যজন আশির আখতার। ঠিকমতো অনুশীলন করাতে পারছিলেন না খালিদ।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় কোচ নিজেই হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, দ্রুত ক্লাবগুলোর সঙ্গে ফেডারেশন কথা বলে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলুক। কয়েক দিন আগে যোগ দেন রক্ষণের আরও দুই ফুটবলার পরমবীর ও মহম্মদ উভেস। মঙ্গলবার আনোয়ার আলি যোগ দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন খালিদ। এই মুহূর্তে জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন মোট পাঁচজন রক্ষণের ফুটবলার। এখানেই শেষ নয়, এখনও পর্যন্ত সুনীল ছেত্রীকেও তাঁর ক্লাব ছাড়েনি জাতীয় শিবিরে।
এদিন শুধু আনোয়ারই নয়, শিবিরে যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলের আরেক ফুটবলার নাওরেম মহেশ সিং। এই দু'জন যোগ দেওয়ার ফলে এখন পর্যন্ত জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়া ফুটববলারের সংখ্যা পঁচিশ জন। তারমধ্যে তিনজন গোলকিপার। আটজন মাঝমাঠের ও নজন আক্রমণভাগের ফুটবলার যোগ দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই এফসি গোয়া ও মোহনবাগানের ফুটবলারদেরও নাম ঘোষণা করা হবে।
খালিদের কোচিংয়ে কাফা নেশনস কাপে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ভারত। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা নির্ণয় পর্বের আগামী দুটি ম্যাচ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে নামার আগে জাতীয় শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছিলেন খালিদ। দুটি ম্যাচই সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে। ৫ অক্টোবর কিংবা ৬ অক্টোবর সিঙ্গাপুর উড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় কোচের।
