সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেতে নাহি দিব...। কিন্তু সবসময় তো ধরে রাখাও যায় না। কালের নিয়মে ইতি টানতে হয়, পথ ছেড়ে দিতে হয় আগামীর জন্য। সুনীল ছেত্রীও করলেন। ভেবেছিলেন, ম্যাচের দিন আর কান্নাকাটি করবেন না। কিন্তু মন কি আর মস্তিষ্কের কথা শোনে? ৫৯ হাজার সমর্থকে ভরা যুবভারতীর বুকে আবেগে ভাসলেন ক্যাপ্টেন, লিডার, লেজেন্ড সুনীল। আর কোচ ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac) বলে দিলেন, 'ওর মতো আর কে কোথায় আছে?'
লক্ষ্মীবারে ঘরের মাঠে কুয়েতের কাছে আটকে যাওয়ায় তৃতীয় রাউন্ডে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে গেল ভারতের। কারণ বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে পরের রাউন্ডে পৌঁছতে হলে কাতারের মাটিতে কাতারকে হারাতে হবে। যা দুঃসাধ্য। কোচ মনে করছেন, এদিন ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর ছেলেরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসের অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। খেলার শেষে ড্রয়ের কারণ প্রসঙ্গে মেন ইন ব্লুয়ের কোচ বলেন, "ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। তাছাড়া সেভাবে আগ্রাসী ফুটবলও খেলতে পারিনি আমরা। যে সুযোগে ওরা একাধিকবার আক্রমণ করেছে। তবে গুরপ্রীত দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। নিজের সেরাটা দিয়েছে। যদিও বাকিরা তেমন ভালো খেলেনি। ফলে গোলের সুযোগও তৈরি হয়নি।"
[আরও পড়ুন: নেতারা জেলে, ভোট ময়দান কামড়ে দল, পার্থ-বালু-কেষ্টর গড়ে তৃণমূলের ফল কেমন?]
এর পরই তাঁর দিকে ধেয়ে আসে সেই মোক্ষম প্রশ্নটি। দলে কে পূরণ করবেন সুনীলের (Sunil Chhetri) শূন্য়স্থান? ৯ নম্বর জার্সিতে দলকে ভরসা জোগাবেন কে? সোজাসাপ্টা স্টিমাচ বলে দেন, "যে গোল করতে পারবে, সে। গোল আর নেতৃত্বই সুনীলকে সুনীল বানিয়েছে। ও যেভাবে দলকে উদ্বুদ্ধ করত, যেভাবে সতীর্থদের পাশে দাঁড়াত, ভালো-মন্দ সময়ে দলকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করত, সেসব অভাব বোধ হবে। ওর মতো করে আর কে করতে পারবে!" তবে দলে সুনীল স্থান নিতে পারেন রহিম আলি বলে মনে করছেন স্টিমাচ।
