শিলাজিৎ সরকার: খাতায় কলমে অ্যাওয়ে ম্যাচ। খেলতে হবে জামশেদপুর। তবে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বপ্রাপ্ত হেডকোচ বিনো জর্জ মনে করছেন, জামশেদপুর ম্যাচে হোম ম্যাচের মতোই সমর্থকদের পাশে পাবেন তিনি। এমনিতে জামশেদপুরে প্রচুর বাঙালির বাস। তাছাড়া কলকাতার কাছে হওয়ায় বহু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক কলকাতা থেকেও খেলা দেখতে যাবেন। বিনোর আশা, জামশেদপুরের গ্যালারিতেও লাল-হলুদ সমর্থকরা গলা ফাটাবেন তাঁর দলের হয়ে।
আসলে এই মুহূর্তে সমর্থনের পাশে পাওয়াটা ভীষণ জরুরি বিনোর দলের জন্য। লিগে হারার হ্যাটট্রিকের পর কোচের বিদায়। সব মিলিয়ে আইএসএলে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে লাল-হলুদ শিবির। ভালো দল গড়েও প্রথম ম্যাচে রেজাল্ট দেখাতে পারেননি কার্লেস কুয়াদ্রাত। কিন্তু দলের জেতার ক্ষমতা আছে, তেমনটাই মনে করছেন কুয়াদ্রাতের হটসিটে বসা বিনো। তিনি বলছেন, "আমি দলের উপর ভরসা রাখছি। ভালো দল। আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামছি। নিজেদের চেনা ছকে জয়ের জন্য খেলব।"
ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ মেনে নিয়েছেন, "আমরা তিন ম্যাচেই ভালো খেলেছি। ছোট ছোট ভুলের মাশুল দিয়ে হারতে হয়েছে। আমরা শেষ কয়েকটা ট্রেনিং সেশনে সেই ভুল-ভ্রান্তি শোধরানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি ছেলেরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করবে।" তাঁর সাফ কথা, "জামশেদপুর আমাদের কাছে ঘরের মাঠের মতোই। কলকাতার কাছে হওয়ায় বহু সমর্থক আসবেন। আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। তবে আমাদের পয়েন্ট প্রয়োজন। ফলে হোম ম্যাচের মতো করেই খেলব।"
কোচ বদলের পর ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য বদলাবে বলেই মনে করছেন অধিনায়ক ক্লেটন। তিনি বলছেন, "প্রথম তিন ম্যাচে ফলাফল আমাদের মনমতো হয়নি। তার কিছু প্রভাব তো পড়েইছে। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। একটা জয় পেলেই এই দল ঘুরে দাঁড়াবে। কঠিন সময়। তবে আমরা আগেও এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আপাতত কালকের ম্যাচে ফোকাস করছি। জিতে লড়াইয়ে ফেরাই আমাদের লক্ষ্য।"