সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা-কে হারিয়েছেন মাত্র দেড়দিন আগে। এখন সঙ্গী শূন্য ঘর, মা-কে হারানোর বেদনা। কিন্তু সেই বেদনাকে সঙ্গী করেও কর্তব্যে অবিচল পাঠচক্রের গোলরক্ষক অর্ণব দাস। মা-কে দাহ করে সোমবার অনুশীলনে নামেন এবং জানিয়ে দেন মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলবেন। মঙ্গলবার সেই মতো মাঠে নামলেন, খেললেন এবং জিতলেন।
মায়ের মৃত্যুর পর দেড়দিনও হয়নি। এদিন সাদা থান পরেই মাঠে এসেছিলেন অর্ণব। কোনওরকমে ম্যাচের সময়টুকু সাদা থান খুলে জার্সি পরা। এরপর আবার সেই সাদা থান পরে বাড়ি ফেরা। মাঝখানে মাঠে নায়কোচিত পারফরম্যান্স। একের পর এক লাল-হলুদ আক্রমণ। গোটা ম্যাচে একবারও বল জালে গড়াতে দেননি অর্ণব। ফের ক্লিনশিট নিশ্চিত করে নায়ক তিনি।
বড় দলের বিরুদ্ধে জেতার পর আর চোখের জল চাপতে পারেননি। দর্শকদের মধ্যে গিয়ে কেঁদেছেন অর্ণব। আসলে চার বছর আগে বাবাকে হারিয়েছিলেন পাঠচক্রের গোলরক্ষক। এবার মা-কে হারিয়ে শূন্য বাড়ি। ম্যাচ জেতার পর সাদা থান পরে সেই শূন্য বাড়ির দিকেই পা বাড়ালেন তিনি। এদিন দলকে জিতিয়ে সেই জয় মা ও বাবাকে তা উৎসর্গ করেন অর্ণব। এদিন পাঠচক্রের হয়ে গোল করে দলকে জেতান ডেভিড। তিনিও জয়ের পর গোল উৎসর্গ করলেন অর্ণবের মা-কে।
এদিন ম্যাচের পর জয়ের আনন্দে নামী রেস্তরাঁয় বিরিয়ানি খাওয়াতে চেয়েছিলেন পাঠচক্রের বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। কিন্তু অর্নবের মা-কে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন ফুটবলাররা। বরং সেই খরচের টাকাটা তুলে দেওয়া হোক অর্ণবের মায়ের শেষকৃত্যের জন্য, আর্জি ছিল তাঁর সতীর্থদের। সেই আর্জি রেখেছেন মামনি গ্রুপের প্রধান সেখ নাসিম আখতার।
