অর্পণ দাস: সুপার কাপ ফাইনালে এফসি গোয়ার কাছে হার ইস্টবেঙ্গলের। যে টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল বিতর্ক দিয়ে, আর শেষটা হল হতাশা দিয়ে। একগুচ্ছ গোল মিসের পরিণতি টাইব্রেকারে ৫-৬ গোলে পরাজয়। সমাপতন হলেও আইএফএ শিল্ডেও টাইব্রেকারে হেরেছিল অস্কার ব্রুজোর দল। সেখান থেকে যে বিতর্কের আগুন ছড়িয়েছিল, তা ফের উসকে দিলেন লাল-হলুদের প্রাক্তন গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী। তাঁর সাফ বক্তব্য, "এখন তো আমি নেই। তাহলে ইস্টবেঙ্গল কেন হারল? অস্কারের কাছে জবাব চাওয়া হোক। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এনেছিলেন, তার জবাব দিক।" তবে ইস্টবেঙ্গল হারায় মন খারাপও হচ্ছে সন্দীপের।
ফিরে যাওয়া যাক মাস দেড়েক আগে। আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল টাইব্রেকারে হারের পর বিতর্ক শুরু অস্কার ও সন্দীপের মধ্যে। যে ম্যাচে পেনাল্টি শুট আউটে প্রভসুখন গিলের জায়গায় নেমেছিলেন দেবজিৎ মজুমদার। যে সিদ্ধান্ত ছিল তৎকালীন গোলকিপিং কোচ সন্দীপ নন্দীর। পরে ভারতের জাতীয় দলের গোলকিপার অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্তের জেরে তাঁকে অপমান করেছিলেন অস্কার। ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বও ছাড়েন সন্দীপ। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছিল, সন্দীপ নাকি ক্লাবকর্তাদের অঙ্গুলিহেলনে চলেন এবং 'ঘরের কথা' ফাঁস করেন।
এবার সন্দীপের পালটা অভিযোগ, এখন তো তিনি নেই। তাও কেন ইস্টবেঙ্গলের হার? ম্যাচের পর সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "আজকে তো কর্মকর্তাদের কথা শুনে কেউ দেবজিতকে নামায়নি, কেউ তো আজ অস্কারকে ভুল বোঝায়নি, তাহলে কাকে দোষ দেবেন? তাহলে এত ভালো দল নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ১২০ মিনিট গোল করতে পারে না কেন? উনি তো এত বড় কোচ।" সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখায় ফাইনালে ডাগআউটে ছিলেন না অস্কার। তা বলে সন্দীপের নিশানা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
তবে মন খারাপও হচ্ছে সন্দীপের। তিনি বলেন, "যতই হোক আমার তো রক্তে ইস্টবেঙ্গল। এই ক্লাব আমার আবেগ, আমার ভালোবাসা। ক্লাবের সঙ্গে তো আমার কোনও ঝামেলা নেই। কিন্তু একটা কথা বলে রাখি, অস্কার মানুষ ভালো নন। টাইব্রেকারে যা খুশি হতে পারে। তাতে কাউকে অপমান করা হবে কেন? এবার আমি আর চুপ করে থাকব না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল, সেগুলোর জন্য জবাবদিহি চাওয়া উচিত।"
