সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে বেশ তরতরিয়েই এগিয়ে চলছিল বাংলা। মাঝে একটা পাঞ্জাব ম্যাচ বাদ দিলে, দাপট নিয়েই জিতছিল কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার দল। তবে শেষ ম্যাচে পণ্ডিচেরির কাছে হারটা বেশ চাপে ফেলেছে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। গ্রুপের খেলা হলেও সোমবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে আদতে 'নকআউট' ম্যাচ বাংলার কাছে। কারণ এই ম্যাচের বিজয়ী দল যাবে পরের রাউন্ডে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই 'মরাবাঁচার ম্যাচ' খেলতে নামার আগে দলে একাধিক বদলের ভাবনা বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের।
গ্রুপে শেষ ম্যাচে হরিয়ানার কাছে হেরেছে বরোদা। যা গ্রুপ 'সি' থেকে পরের পর্বে যাওয়ার অঙ্কটা পরিষ্কার করে দিয়েছে। বাংলা বনাম হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব বনাম গুজরাট ম্যাচের বিজয়ী দল শেষ করবে প্রথম দুইয়ে। চার দলই রয়েছে ১৬ পয়েন্টে। ফলে সরাসরি জিতলেই হবে। রানরেটের কোনও ভূমিকা থাকবে না। হরিয়ানার দলে যুজবেন্দ্র চাহাল, নিশান্ত সিন্ধু, অংশুল কম্বোজের মতো প্লেয়ার রয়েছেন। তবে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলা। হায়দরাবাদ থেকে ফোনে কোচ লক্ষ্মীরতন বলছিলেন, "পণ্ডিচেরি ম্যাচ অতীত। আমরা এখন শুধু হরিয়ানা ম্যাচে ফোকাস করছি। ম্যাচটা আমাদের জিততে হবে। সেটা ছাড়া আর কোনও ভাবনা নেই।"
বাংলার স্বস্তি বাড়িয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। রবিবার প্র্যাকটিসেও ছিলেন তিনি। পারিবারিক কারণে বাড়ি ফিরেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে ইন্ডিগোর বিমানবিভ্রাটে নির্ধারিত সময়ে দলের কাছে ফিরতে পারেননি। তাই পণ্ডিচেরি ম্যাচে ছিলেন না তিনি। আগের ম্যাচগুলিতে শুরুটা ভালো করেছেন অভিমন্যু, অভিষেক পোড়েল, করণ লালের টপ অর্ডার। তবে তাঁরা ব্যর্থ হলে চাপ নিতে পারছে না মিডল অর্ডার। আবার মহম্মদ শামি ও আকাশ দীপ ছাড়া ধারাবাহিকতা নেই পেস বোলিংয়ে। শাহবাজ ছাড়া বাকি অলরাউন্ডাররাও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। বিশেষত প্রদীপ্ত প্রামাণিককে নিয়ে একেবারেই অখুশি টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্যাটে রান নেই, উইকেটও পেয়েছেন পাঁচ ম্যাচে মাত্র দু'টো। এই অবস্থায় হরিয়ানার বিরুদ্ধে একাধিক বদলের পথে হাঁটতে পারে বাংলা। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের উইকেটের কথা মাথায় রেখে শাহবাজের পাশাপাশি পেসার সায়ন ঘোষ প্রথম একাদশে ফিরতে পরারেন। আর প্রদীপ্তর সঙ্গে বসানো হতে পারে মুকেশ কুমারকে। চোট সারিয়ে মুস্তাক আলিতেই ফিরেছেন তিনি। কিন্তু বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি এই জাতীয় পেসার।
