সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু বিএসএফ (BSF) নয়, সিআইএসএফেও সংরক্ষণ পাবেন প্রাক্তন অগ্নিবীররা। শনিবার নয়া বিবৃতিতে জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিএসএফের মতোই সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেও ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে অগ্নিবীরদের জন্য। বিএসএফের মতো সিআইএসএফেও বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনায় যোগ দেওয়া জওয়ানদের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য বয়সে ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা হবে ৫ বছর। পরবর্তী ব্যাচগুলির জন্য এই ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা হতে চলেছে ৩ বছর। বিএসএফের মতোই যে সব অগ্নিবীর CISF-এর নিয়োগে সংরক্ষণের আওতায় আসবেন তাদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষাও দিতে হবে না। এই নিয়ে দুই আধাসেনায় সংরক্ষণ পেলেন অগ্নিবীররা।
[আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি!]
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর (Indian Army) লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। চার বছরের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে বলে সেসময় ঘোষণা করে কেন্দ্র। বাকি ৯০ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। কেন্দ্রের নয়া ঘোষণায় আরও কিছু অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হল।
[আরও পড়ুন: শান্তনুর সম্পত্তির খোঁজে হুগলি জুড়ে তল্লাশি ইডির, বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকলেন আধিকারিকরা]
সেনায় চার বছর কাজ করার পর অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ কী হবে? প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রকে এই প্রশ্নে বিদ্ধ করছিল বিরোধীরা। বস্তুত মাত্র ৪ বছরের জন্য অগ্নিবীর নিয়োগের সিদ্ধান্তে রীতিমতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, এমনকী বাংলারও একটা বড় অংশে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। বস্তুত, সেনাতে ‘পার্ট-টাইম’ নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে সদ্যসমাপ্ত হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও। সেই ক্ষোভ প্রশমনেই সম্ভবত নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল।