হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশের আবগারি দপ্তরে আমূল পরিবর্তন আনলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রযুক্তি নির্ভর কর্মপদ্ধতিতে এই দপ্তর এখন দেশের এক নম্বর মডেলে পরিণত হয়েছে। কেবল রাজস্ব আদায় নয়, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও কর্মসংস্থানেও রেকর্ড গড়েছে উত্তরপ্রদেশ।
লাইসেন্স বণ্টনে পক্ষপাতিত্ব রুখতে চালু হয়েছে অনলাইন 'ই-লটারি' ব্যবস্থা। মদের উৎপাদন থেকে পরিবহন—সবটাই এখন ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণে। প্রতিটি ট্যাঙ্কারে রয়েছে ডিজিটাল লক এবং জিপিএস। এমনকী ডিস্টিলারিগুলোতে সিসিটিভি এবং ডিজিটাল অ্যালকোহলোমিটারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জন্য চালু হয়েছে 'ইউপি এক্সাইজ সিটিজেন অ্যাপ', যার মাধ্যমে মদের আসল-নকল যাচাই করা সম্ভব।
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের নভেম্বর পর্যন্ত আবগারি দপ্তর থেকে আয় হয়েছে ৩৫,১৪৪.১১ কোটি টাকা। এটি গত বছরের তুলনায় ১৫.৫৯ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি, ইথানল উৎপাদনেও উত্তরপ্রদেশ দেশের শীর্ষে পৌঁছেছে। 'ইনভেস্ট ইউপি'-এর মাধ্যমে এই সেক্টরে প্রায় ৩৫,৩৭৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৪,০৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প চালু রয়েছে, যা ৫,০০০-এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে।
অবৈধ মদ বিক্রিতে যোগী সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি বজায় রয়েছে। চলতি বছরে প্রায় ৮০ হাজার মামলা দায়ের হয়েছে এবং ১৫ হাজারের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লখনউতে একটি ডেডিকেটেড কন্ট্রোল রুম ও হেল্পলাইন নম্বরও (১৪৪০৫) চালু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে, এই নতুন নীতি রাজ্যের আর্থিক মেরুদণ্ডকে আরও মজবুত করে তুলেছে।
