সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেদ না করে ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করুন! মহম্মদ মুইজ্জুকে সাফ সতর্কবার্তা দিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি। তাঁর কথায়, চিনের থেকে ঋণ নিয়েই বিপাকে পড়েছে মালদ্বীপ। তাই জেদ ধরে বসে না থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলো মালদ্বীপকে অবশ্যই সাহায্য করবে।
গত বছরের নভেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)। প্রথম থেকেই তিনি ভারতের বিরুদ্ধে কড়া ভাষা প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্টের ভাষণ- বারবার ভারতবিরোধী সুর মুইজ্জুর গলায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই মালদ্বীপ (Maldives) থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেন। নির্দেশ দেওয়া হয় ১০ মে-র মধ্যেই সব সেনা সরিয়ে নিতে হবে ভারতকে।
[আরও পড়ুন: মহাকাল মন্দিরের গর্ভগৃহে আগুন, ঝলসে গেলেন অন্তত ১৩ জন]
তবে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) ‘বিতাড়িত’ করেও নয়াদিল্লির কাছে সাহায্য চেয়ে হাত পেতেছেন মুইজ্জু। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের থেকে বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। কিন্তু সেই বিপুল ঋণ পুরোটাই মকুব করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চিনপন্থী মুইজ্জু। তাঁর কথায়, ভারত হল মালদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠতম’ সঙ্গী। ভারত বরাবরই মালদ্বীপকে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ভারতের থেকে আগের সরকার যা ঋণ নিয়েছিল তা মকুব করে দেবে মোদি সরকার। যদিও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন মিটিয়ে নেওয়ার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি মুইজ্জুর তরফে।
দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্টের এমন আচরণকেই তোপ দেগেছেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলি। তাঁর কথায়, ভারতের থেকে মালদ্বীপের মুদ্রায় মোট ৮০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিনের থেকে নেওয়া হয়েছে ১৮০০ কোটি। অর্থাৎ মালদ্বীপের আর্থিক সংকটের মূল কারণ চিনা ঋণ। তবে এই সমস্যা কাটাতে ভারতের মতো প্রতিবেশীদের থেকে মালদ্বীপ সাহায্য চাইতে পারে বলেই মত সোলির। তিনি বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলো সাহায্য করবে বলেই আমরা আশাবাদী। তাই জেদ ধরে বসে না থেকে আলোচনা শুরু করতে হবে। অনেকেই আমাদের সাহায্য করতে পারবে, কিন্তু মুইজ্জু তো মিটমাট করতেই রাজি নন।” পূর্বসূরির পরামর্শ কি মানবেন চিনপন্থী মুইজ্জু?