সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য প্রার্থীপিছু সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করার অনুমতি দিয়েছে কমিশন। অনেক কোটিপতি প্রার্থী বা তাঁর রাজনৈতিক দলের পক্ষে যা সামান্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু, একজন নির্দল প্রার্থীর পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা যে কতটা কঠিন তা একমাত্র ভুক্তভোগীই জানেন। অনেকে ঝোঁকের বশে প্রার্থী হয়ে নিজের জমি-বাড়ি যেমন বিক্রি করে দেন, তেমনি কেউ কেউ প্রচারের জন্য নূন্যতম খরচের টাকাও জোগাড় করে উঠতে পারেন না। তবে, প্রচারের টাকা জোগাড়ের জন্য কিডনি বিক্রির অনুমতি চাওয়ার কথা মনে হয় আগে কেউই শোনেননি। এবার সেই কাণ্ডই ঘটালেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর সামরিত।
[আরও পড়ুন-মোদিকে ‘চোর’ বলে নয়া বিপাকে রাহুল, দায়ের হচ্ছে মানহানির মামলা]
সমাজবাদী পার্টির ওই প্রাক্তন বিধায়ক আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশের বলাঘাট আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত প্রচারের জন্য খুব বেশি টাকা জোগাড় করে উঠতে পারেননি। তাই জেলার নির্বাচনী আধিকারিক দীপক আর্যর কাছে চিঠি পাঠিয়ে তিনি দাবি করেছেন, “হয় কমিশন ওই টাকা দিক। না হলে তিনি যাতে নিজের কিডনি বিক্রি করে ওই টাকা জোগাড় করতে পারেন তার অনুমতি দিক। ওই চিঠিতে লেখা আছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য প্রার্থীপিছু সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করার অনুমতি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, আমার কাছে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য অত টাকা নেই। তাই আমি কমিশনের কাছে আবেদন করছি যে, হয় তারা আমাকে ৭৫ লক্ষ টাকা দিন বা কোনও ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সাহায্য করুক। তাও যদি না পারে, তাহলে আমি যাতে নিজের কিডনি বিক্রি করতে পারি তার অনুমতি দিক।”
[আরও পড়ুন- মোদির বিরুদ্ধে বারাণসীতে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা? জল্পনা তুঙ্গে]
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি কিশোর দাবি করেন,”প্রচারের জন্য আর মাত্র ১৫দিন বাকি আছে। কিন্তু, এত অল্প সময়ের মধ্যে আমি অত টাকা জোগাড় করতে পারব না। সেই কারণেই কমিশনের থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা চেয়েছি। এদিকে আমার বিরুদ্ধে যারা প্রার্থী হয়েছে তারা প্রত্যেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রচারের জন্য স্থানীয়দের থেকে টাকা তুলছে। কিন্তু, আমি এই এলাকায় উন্নয়ন করার পাশাপাশি এখানকার গরিব মানুষদের জীবনযাপনের মান আরও উন্নত করতে চাই।”
The post প্রচারের টাকা নেই, কমিশনের কাছে কিডনি বিক্রির অনুমতি চাইলেন প্রার্থী appeared first on Sangbad Pratidin.