সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালদের আরও সতর্কভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করা উচিত। শিব সেনা বিতর্কে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যপালদের মনে রাখা উচিত, আস্থাভোটের নির্দেশ দিলে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার পড়ে যেতে পারে।
শীর্ষ আদালত সাফ বলছে, শুধু একটা দলের অন্দরের অসন্তোষের উপর ভিত্তি করে আস্থাভোটের নির্দেশ দিলে একটি নির্বাচিত সরকার পড়ে দিতে পারে। সেটা ভেবে নেওয়া উচিত ছিল রাজ্যপালের। মহারাষ্ট্রে যে আস্থাভোটের নির্দেশের জেরে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন ঘটে একনাথ শিণ্ডের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই আস্থাভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ওই ঘটনায় তৎকালীন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারির ভূমিকা নিয়ে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে টাটার প্রত্যাবর্তন! কারখানা খুলছে খড়গপুরে, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
শিব সেনার (Shiv Sena) দুই শিবিরের বিরোধ সংক্রান্ত মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, রাজ্যপালের এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যা একটি নির্বাচিত সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনটা হতে থাকলে নেতারা শাসকদল ছেড়ে চলে যাওয়া শুরু করবে এবং রাজ্যপাল সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম হয়ে দাঁড়াবে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, রাজ্যপালের যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যতটা সম্ভব ভালভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা উচিত। উল্লেখ্য, শিব সেনা মামলার শুনানিতে এদিন নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, একনাথ শিণ্ডে শিবিরকে শিব সেনার নাম এবং প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি সবদিক বিচারবিবেচনা করেই দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘নুক্কড়’ ও ‘সার্কাস’ সিরিয়াল খ্যাত বর্ষীয়ান অভিনেতা সমীর কক্কর]
রাজ্যপালের ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য বর্তমানে দেশের একাধিক রাজ্যের প্রেক্ষিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে যেখানে রাজ্যপালদের ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগ আকছার শোনা যাচ্ছে। এমনকী এই পর্যবেক্ষণের ফলে মোদি (Narendra Modi) জমানায় একাধিক ক্ষেত্রে বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়া নিয়েও নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে।