সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া এবং বর্ধিত DA’র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা যখন আন্দোলনের পথে, ঠিক তখনই DA নিয়ে বড়সড় দুঃসংবাদ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। কোভিডকালের বকেয়া ১৮ মাসের মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন না তাঁরাও। মঙ্গলবার সংসদেই জানিয়ে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার।
আসলে কোভিডকালে (Coronavirus) কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৩ কিস্তির ডিএ’র টাকা আটকে দিয়েছিল কেন্দ্র। সচরাচর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৬ মাস অন্তর অন্তর ডিএ’র কিস্তি পান। কিন্তু কোভিডকালে ২০২০ সালের জানুয়ারি, জুন এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ডিএ’র টাকা সরকারি কর্মীরা পাননি। কেন্দ্র জানায়, কর্মীদের ডিএ বাতিল করে সেই ৩৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা সঞ্চয় করেছিল, যা মহামারী রুখতে খরচ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চোখে চোখে কথা বলো…! ভারচুয়াল শুনানিতে প্রকাশ্যেই ‘প্রেমালাপ’ পার্থ-অর্পিতার]
সম্প্রতি সংসদে এক লিখিত প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মহামারী পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি যখন আগের অবস্থায় ফিরেছে, তখন কর্মীদের সেই বকেয়া ডিএ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার কি ভাবছে? এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিল, ওই সময়ের ডিএ সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে না। অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, “ওই মহার্ঘ্য ভাতা বাতিলের সিদ্ধান্ত মহামারীর প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছিল, ওই মহামারী আমাদের অর্থনীতিতে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া এই ডিএ বাবদ জমানো টাকা মহামারী মোকাবিলায় এবং জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার হয়েছে। তাই ওই ডিএ সরকারি কর্মীদের দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘যারা ভুল করেছে তাঁদের আবার সুযোগ দেওয়া হোক’, চাকরিহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী]
ঘটনাচক্রে এরাজ্যের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারও এই একই যুক্তি দেখিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, রাজ্য সরকার মানবিক সরকার। এ রাজ্যে এতগুলি জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি চলে। তাই কর্মীদের ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মমতার এই যুক্তি খারিজ করে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। অথচ সেই বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারই কর্মীদের ডিএ দিতে অস্বীকার করল।