সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাফিয়ে বাড়ছে পাকিস্তানের (Pakistan) মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার আত্মঘাতী বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর জখম অন্তত ২২১ জন। অন্যদিকে মঙ্গলবারই বিস্ফোরণ ঘটানো জঙ্গির মাথা উদ্ধার করল তদন্তকারী দল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দেহ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল জঙ্গির মাথা, প্রাথমিক ভাবে সেরকমই অনুমান তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে পাক তালিবান।
পেশোয়ারের (Peshawar Blast) পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আইজাজ খান জানিয়েছেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে পুলিশ সেজে মসজিদে ঢুকেছিল ওই জঙ্গি। পুলিশের সরকারি গাড়িতে চেপেই মসজিদ চত্বরে পোঁছয় সে। ওই সময় মসজিদে প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাদের ভিড়ে মিশে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষা এড়িয়ে যায় ওই জঙ্গি।” তারপরেই দুপুর দেড়টা নাগাদ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পেশোয়ারের মসজিদ।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের বন্দর অধিগ্রহণ আদানির, হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হাজির নেতানিয়াহু]
আইজাজ আরও বলেছেন, বিস্ফোরণের পরে উদ্ধারকাজ চালানোর সময়ে একটি মাথা পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সেটি আত্মঘাতী জঙ্গির দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে পেশোয়ার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও অনেক দেহ পাওয়া যাবে বলেই আশঙ্কা উদ্ধারকারীদের। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান পুলিশের।
পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নেয় পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান (TTP)। জেহাদি সংগঠনের কমান্ডার সরবাকফ মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। পাকিস্তানের মাটিতে লাগাতার নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান। সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি। বিশেষ করে পাকিস্তানে একাধিক হামলা চালিয়েছে, টিটিপি। বারবার আলোচনায় বসেও সংগঠনটিকে অস্ত্র পরিহারে বাধ্য করতে পারেনি পাক প্রশাসন।