সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাঁসফাঁস গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তবে এই তীব্র গরমে একমাত্র মন ভালো করার একমাত্র উপায় নানা খাবার। কথায় বলে পেটে খেলে পিঠে সয়। ঠিক যেন সেভাবেই পেটে খেলে গরমও সয়। আর এই গরমকাল আসা মানেই বাজারে দেদার বিক্রি হবে নানারকমের আম। হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া, কাঁচা মিঠে। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব সেটাই বোঝা দায়।
স্বাদ, গন্ধের পাশাপাশি আম কিন্তু একটি পুষ্টিকর ফলও। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, শর্করা ও ক্যালোরি। আর প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকার ফলেই ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আম খাওয়া থেকে থাকেন শত হস্ত দূরে। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে আম খেলে কোনও বিপদ হবে না।
ঠিক কি কি নিয়ম মেনে ডায়াবেটিসের রোগীরা পছন্দের এই ফল খাবেন জেনে নিন-
অভিজ্ঞরা বলছেন, একটা বড় আম একেবারে পুরোটা না খেয়ে অনেকটা সময়ের ব্যাবধানে খেতে। সম্ভব হলে তা সকাল ও বিকালে ভাগ করে খেতে। এতে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। একইসঙ্গে বলছেন শুধু ডায়াবেটিসের রোগীরাই নন প্রত্যেকেই এইভাবে আম খাওয়ার অভ্যাস করলে সেক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি ও ওজন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা যাবে।
রাতের খাবার খাওয়ার পর আম খেয়েই শেষপাতে মিষ্টিমুখ সারি আমরা অধিকাংশই। অভিজ্ঞরা বলছেন নৈব নৈব চ। রাতের খাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যাবে না একেবারেই। একই সঙ্গে যেকোনও ভারী খাবারের সঙ্গেও আম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ পাকা আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি।
আম খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে প্রাতঃরাশ ও নৈশভোজের মধ্যবর্তী সময়। বিশেষত ব্রেকফাস্ট। তবে এক্ষেত্রেও ভারি খাবার খেয়ে আম খেতে নিষেধ করছেন অভিজ্ঞরা।
গোটা আম কেটে ফল হিসাবেই সেটি খেলে তাতে শরীরের উপকার হয়। আমের জুস, পুডিং ইত্যাদি বানিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই বলছেন চিকিৎসকেরা।
শশার সঙ্গে আম খেলে তাতে গ্লুকোজ নিঃসরণ হয় ধীরগতিতে। আর এই উপায়ে আম খেলে তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বাড়বে না। তবে এই ধরণের উপায়গুলি মেনে চলার পাশাপাশি শরীরের সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলবেন। অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা যাচাই করবেন অবশ্যই নিয়ম করে।