সুপর্ণা মজুমদার: শেষ হইয়াও কেন হইল না শেষ? ক্লাইম্যাক্সের আগে ঠিক এই কথাই মনে হচ্ছিল। শুরুটা ভালই হয়েছিল ‘ছলাং’-এর (Chhalaang)। কাহিনির সারল্যের সঙ্গে অভিনয়ের দক্ষতা সুন্দর মিশ্রণ তৈরি হয়েছিল। শেষরক্ষা করতে পারলেন না পরিচালক হনসল মেহতা (Hansal Mehta)। অযথা ছবির দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ফেললেন।
‘শহিদ’, ‘ওমের্তা’ থেকে ‘আলিগড়’, সিরিয়াস ছবির পরিচালক হিসেবেই বেশিরভাগ দর্শকের কাছে হনসল মেহতার পরিচিতি। তবে এবারে জীবনের সামান্য ঘটনাগুলিকে কমেডির মোড়কে ঠিক ধোঁয়া ওঠা ‘পাকোড়া’র মতো পরিবেশন করতে শুরু করেছিলেন পরিচালক। অজয় দেবগন (Ajay Devgn) ও লাভ রঞ্জনের (Luv Ranjan) মতো প্রযোজককে পাশে পেয়েছেন। আর পেয়েছেন নিজের সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা রাজকুমার রাওকে (Rajkummar Rao)। ছবিতে পি. টি. টিচার মন্টুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজকুমার। আর পাঁচটা সাধারণ যুবকের মতো মন্টু। শিক্ষকের বদলে তাঁর মধ্যে দোষগুণে ভরা মধ্যবিত্ত যুবকের গুণ বেশি। যে দেখা মাত্রই কম্পিউটারের শিক্ষিকা নীলিমা ওরফে নীলুর (নুসরত ভারুচা) প্রেমে পড়ে যায়। নায়ক থাকলে ভিলেন থাকা আবশ্যিক। সেই কাজটি সিং স্যারের চরিত্রে করে দেন মহম্মদ জিশান আয়ুব (Mohammed Zeeshan Ayyub)। শুধু নীলু নয় মন্টুর চাকরিটিও কবজা করার চেষ্টা করে। হরিয়ানার জাঠ তা কেমনে মানিয়া লয়? অতএব সম্মুখ সমর। কাহিনিতে নতুনত্ব কিছু নেই। কিন্তু পরিচালনা, সংলাপ, অভিনয়, সম্পাদনার জোরে তা শেষের আগে পর্যন্ত টের পাওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: অতীতের আগুনে কতটা ঘৃতাহুতি দিতে পারল ‘আশ্রম চ্যাপ্টার ২’? পড়ুন রিভিউ]
সৌরভ শুক্লা, সতীশ কৌশিক, যতীন শর্মা, ইলা অরুণ, প্রত্যেকেই মঞ্চ শিক্ষিত অভিনেতা। পরিচালকের অর্ধেক সমস্যার সমাধান সেখানেই হয়ে গিয়েছিল। তারপরও ১৩৬ মিনিটের সিনেমার শেষের ১৬ মিনিট কেন রাখলেন বোঝা গেল না। সত্যের জয়েই নটে গাছটি মুড়োলে পারত। তারপর মন্টু আর সিং স্যারের নীতি কথা রাখার কোনও প্রয়োজন ছিল না। সব শেষে একজনের কথা বলতেই নয়। নুসরত ভারুচা (Nushrat Bharucha)। হরিয়ানার যুবতীর চরিত্রে রাজকুমার পাশে থেকেও স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন অভিনেত্রী। গ্ল্যামারের ছটার পাশাপাশি তাঁর অভিনয় বেশি করে বলিউডের ব্যবহার করার উচিত। স্কুল জীবনের স্মৃতি যাঁরা ফিরে পেতে চান, এ ছবি একবার আমাজন প্রাইম ভিডিওয় (Amazon Prime Video) দেখে নিতেই পারেন।