সুকুমার সরকার, ঢাকা: দূষণে জেরবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা (Dhaka)। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু যুক্ত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের এই ব্যস্ত শহর। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে একদিনও বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারেনি ঢাকাবাসী।
বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর ঢাকা। ভৌগোলিকভাবে এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর দিকে একটি সমতল এলাকাতে অবস্থিত। এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ১১ ভাগ। রোজ প্রায় ৫ লক্ষ রিকশা চলাচল করে ঢাকায়। বাস, গাড়ি, ট্যাক্সি সবেরই আধিক্য বেশি। ফলে এমনিতেই এই শহরের বাতাস ভারী থাকে। শীতকালে এই পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়।
[আরও পড়ুন: ফের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ বাংলাদেশে, বিসর্জনের সময় সরস্বতী উপর হামলা]
জানা যাচ্ছে, শীতের সময় যে পারিপার্শ্বিক অবস্থা হয়, সেখানে বায়ুতে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রাও বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই বিষে ভরা বাতাস নাকে ঢুকছে ঢাকার বাসিন্দাদের। তাতে নানা শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার বাতাস ছিল সবচেয়ে বেশি দূষিত। আগামী ৭ দিনও ঢাকায় বাতাসের মানে কোনও উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেও এ শহরের বায়ু থাকবে অস্বাস্থ্যকর।
বাংলাদেশে উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন ও জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৩.৯ থেকে ৪.৪ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে বায়ুদূষণের জেরে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং রোগের ঝুঁকি। স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়ার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশু, বয়স্ক এবং সহজাত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্তদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। কারণ ভোগান্তি তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি।