সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের খতম করতে নিত্যনতুন পন্থা ব্যবহার করে চিন। এবার তাঁদের শনাক্ত করার জন্য শি জিনপিংয়ের প্রশাসন অত্যাধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছে বলেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের শনাক্ত করে তাঁদের নিশ্চিহ্ন করতে সবরকম পথই অবলম্বন করা হচ্ছে। এবার উইঘুরদের যাতে ভিড়ের মধ্যেও খুব সহজে শনাক্ত করা যায় তার জন্য চিনের বিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি Huawei একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যার সাহায্যে মুখ দেখেই উইঘুরদের শনাক্ত করা যাবে। এর সাহায্যে উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের বেছে বেছে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। এমনকী তাঁদের সম্পর্কে একটি বিরাট তথ্য ভাণ্ডারও তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে ইচ্ছা করলেই ওই মানুষগুলিকে যখন খুশি বন্দিশিবিরে বা বাইরে রাখতে পারবে তারা।
[আরও পড়ুন: এখনও হার মানেননি ট্রাম্প, এর মধ্যেই হোয়াইট হাউস ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু মেলানিয়ার ]
বুধবার রাষ্ট্রসংঘের উপর নজরদারির কাজে যুক্ত জেনেভার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তরফে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের যারা প্রতিদিন নমাজ পড়ে বা ধর্মপ্রাণ তাঁদের নাম সবার উপরে রেখে একটি তালিকা তৈরি করছে চিন। তারজন্য মূলত ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। তালিকা তৈরির পর প্রত্যেক উইঘুর মুসলিমকে আলাদা আলাদা ভাবে মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা চলছে। চিন (China) থেকে প্রাচীন উইঘুর সংস্কৃতিকে নির্মূল করাই একমাত্র লক্ষ্য ‘ড্রাগনে’র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। এবার ‘উইঘুর অ্যার্লাম (Uighur alarm)’ নামে পরিচিত ওই সফটওয়্যারের জন্য সেই কাজে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই ধরনের ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে।