সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমস ভারতের জন্য স্মরণীয় হয়ে রইল। এখনও পর্যন্ত এশিয়াডের ইতিহাসে এটাই ভারতের সেরা পারফরম্যান্স। ১৫টি সোনা-সহ এবারের এশিয়াডে মোট ৬৯টি পদক পেয়েছে ভারত। এর আগে ১৯৫১ সালে ১৫টি সোনা জিতেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু এবারে মোট পদকের সংখ্যা ১৯৫১-র চেয়ে বেশি। আর এই সাফল্যের বছরে ভারতের অন্যতম সেরা পাওনা অসমের ১৯ বছর বয়সী অ্যাথলিট হিমা দাস।
[গোটা বাংলার তাসপ্রেমীদের আদর্শ এখন প্রণব-শিবনাথ জুটি, খুশি পরিজনরাও]
এর আগে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন হিমা। তখনই বোঝা গিয়েছিল এ মেয়ের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে। হিমা যে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা অ্যাথলিটদের মধ্যে একজন তা তিনি আরও একবার প্রমাণ করলেন এশিয়ান গেমসে। একটি সোনা-সহ মোট তিনটি পদক গেল অসমের তরুণী অ্যাথলিটের ঝুলিতে। টুর্নামেন্টের শুরুটা হিমা করেছিলেন এশিয়াডে ভারতীয় রেকর্ড ভেঙে। ব্যক্তিগত ইভেন্ট মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌঁড় হিমা শেষ করেন মাত্র ৫০.৫৯ সেকেন্ডে। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় মহিলাদের এটি নতুন রেকর্ড। এই ইভেন্টে অল্পের জন্য সোনা না পেলেও হিমা জেতেন রুপোর পদক। এরপর ৪০০ মিটার রিলে রেসের মিক্সড ইভেন্টেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন হিমা। নিজের প্রথম দলগত ইভেন্টেও রুপো জেতেন অসমের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিমা। তবে, এশিয়াডে হিমার সেরা পারফরম্যান্সটি আসে মহিলাদের ৪০০ মিটার রিলে রেসে। মহিলাদের ৪০০ মিটার রিলে রেসে হিমার কৃতিত্বেই সোনা জেতে ভারত।
[অবাক বিশ্ব! সাত বছরেই ব্ল্যাক বেল্ট হৃদয়পুরের ফ্লোরা]
১৯ বছরের অসম-কন্যার এশিয়ান গেমস শেষ হয় একটি সোনা ও দুটি রুপো নিয়ে। প্রথমবার এশিয়ান গেমসে নেমেই এ হেন সাফল্য সত্যিই কল্পনাতীত। তাছাড়া অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে হিমার সাফল্যকে আরও বড় মনে হয়। কারণ একা হিমা ব্যক্তিগতভাবে যা পদক পেয়েছেন তাতে এশিয়ান গেমসের পদক তালিকায় ৫৫টি দেশের মধ্যে ২৭ ম স্থানে থাকতেন তিনি। ভারতের ত্রিসীমানায় হেন কোনও দেশ নেই যে হিমার সঙ্গে টক্কর দিতে পারে। কারণ এশিয়াডে ব্যক্তিগত ভাবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, আফগানিস্তান দলকে টপকে গিয়েছেন হিমা। ভারতীয় অ্যাথলিট যেখানে পদক তালিকায় ২৭তম স্থানে থাকতেন, সেখানে নেপাল ৩৩তম এবং পাকিস্তান ৩৪তম স্থানে আছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান কোনও পদকই পায়নি।
The post এশিয়াডে একাই এতগুলি দেশকে হারিয়ে দিলেন হিমা দাস! appeared first on Sangbad Pratidin.