সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আরও বিপাকে পাকিস্তান৷ চলতি আর্থিক বছর থেকে পাকিস্তানকে আর্থিক অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা৷ পেন্টাগনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সন্তাস দমনের জন্য পাকিস্তানকে ১৬৬ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন৷ কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কিছুই করেনি৷ উলটে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাক সরকার৷
মা[প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধ ট্রাম্প-ইমরানের, তলানিতে পাক-আমেরিকা সম্পর্ক]
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র কর্নেল রব ম্যানিং জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করার প্রক্রিয়া গত জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ পেন্টাগনের সবুজ সংকেত অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা৷ মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরই পাক প্রশাসনকে সরকারি ভাবে অনুদান বন্ধ করার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তানকে নিয়ে উৎসাহী নয় আমেরিকা৷ আমরা ভেবেছিলাম, সন্ত্রাসে মদত দেওয়া ও মুহূর্তে মুহূর্তে প্রতিবেশী দেশের উপর হামলা বন্ধ হবে৷ কিন্তু, কথা রাখেনি পাকিন্তান৷ তাই আমরা বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’
[মার্কিন পানশালার বাথরুমে হিন্দু দেবতাদের ছবি, প্রতিবাদ প্রবাসী ভারতীয়র]
বস্তুত, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানকে একঘরে করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত৷ কিন্তু, রাষ্ট্রসংঘ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা৷ শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্কে ইতি টানলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বন্ধ করলেন আর্থিক অনুদান৷ এদিকে এখন এমনিতে আর্থিক সংকটে পাকিস্তান৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই পাকিস্তানকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন ইমরান খান৷ নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও বিলাসিতা ছেড়েছেন তিনি৷ ফলে মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্তে পাক-সরকারে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷