সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিল ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা চিকিৎসায় চারটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধের উপযোগিতা কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে WHO’র ট্রায়ালে। এবার ভারত সরকারও ওই চারটি ওষুধকে করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি থেকে ছেঁটে ফেলতে পারে। এ বিষয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের করোনা সংক্রান্ত কমিটি।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্তা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, WHO আয়োজিত এক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, রেমডিসিভির (Remdesivir) নামক ওষুধটি করোনা রোগীর কোনও উপকারে লাগে না। লাগলেও তা নেহাত সামান্য। এতে রোগীর হাসপাতালে থাকার সময়কালও কমে না, আবার মৃত্যুহারও কমে না। শুধু রেমডিসিভির নয় একই অবস্থা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (hydroxychloroquine), লোপিনেভির এবং রিটোনেভিরের মতো ওষুধের। বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালানোর পর WHO দাবি করেছে, এই চারটি ওষুধের কোনওটিই করোনার চিকিৎসায় তেমন উপযোগী নয়। এর প্রয়োগে না মৃত্যুহার কমে, আর না রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।
[আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় উপযোগী নয় রেমডিসিভির! সমীক্ষা করে জানাল WHO]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলছিলেন, আইসিএমআরের (ICMR) ডিরেক্টর ডঃ বলরাম ভার্গব এবং নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পলের নেতৃত্বে করোনার জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের পরবর্তী বৈঠকে এই মারণ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, যে চারটি ওষুধ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ট্রায়ালের আয়োজন করেছিল, সেই সবগুলিই ভারতে অত্যন্ত প্রচলিত। প্রায় গোটা দেশের চিকিৎসকরাই এই মারণ রোগের হাত থেকে রোগীদের বাঁচাতে এগুলি ব্যবহার করেন। এখন দেখার, আলোচনার পর এই ওষুধগুলি বাতিল করা হয়, নাকি এগুলির ব্যবহার অব্যাহত রাখা হয়।