সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তালিবান (Taliban)। জেহাদিদের শাসনে দেশটিতে ক্রমে শক্তি বড়াচ্ছে লস্কর, আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের সঙ্গে যৌথ কর্মসমিতি তৈরি করতে চলেছে ভারত (India)।
[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ হলে ভয়ানক জবাব দেওয়া হবে রাশিয়াকে’, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বাস বাইডেনের]
বৃহস্পতিবার প্রথম ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া সামিটে মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সম্মেলনে অংশ নেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ, উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজাইওইয়েভ, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রহমন, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরনাঙ্গুলি বেরদিমুহামেদেও এবং কিরঘিজস্তানের সাদির জাপারোভ। আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের কথা মাথায় রেখে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে খবর। বৈঠকে শান্ত ও স্থিতিশীল আফগানিস্তান গড়ে তোলার পক্ষে সহমত হন তাঁরা। পাশাপাশি, দেশটির সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় বলে খবর।
সম্মেলনের পর বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির প্রধানরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৫৯৩ নম্বর প্রস্তাবের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তা সমর্থন করেছেন। ২০২১ সালের ওই প্রস্তাব অনুযায়ী আফগানভূমে সন্ত্রাসবাদীদের জায়গা দেওয়া যাবে না। এছাড়া, আফগানিস্তান নিয়ে একটি যৌথ কর্মসমিতি তৈরি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা।”
উল্লেখ্য, সম্মেলনে পেশ করা বক্তব্যে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর বাড়তি গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আফগানিস্তান ও উপমহাদেশে শান্তি বজায়। কাজাখস্তানের সাম্প্রতিক ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানো, যেহেতু এই দেশ ভারতের তৈল আমদানির বড় অংশ এবং গোটা মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা। মোদির বক্তব্য শেষের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) রিনত সান্ধু। তিনি বলেন, ”আমাদের মূল ফোকাস আফগানিস্তান। এখানকার অবস্থা পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শান্তিপূর্ণ এবং স্থায়ী আফগানিস্তান প্রত্যাশা করি। মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গেও এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।”