সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে কাজ। সব ঠিক থাকলে ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারতের মাটিতে ছুটবে বুলেট ট্রেন। ইতিমধ্যেই সিংহভাগ পরিকাঠামোর কাজ সম্পন্ন। যার প্রমাণ দিলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোশাল মিডিয়ায় তিনি জানালেন, মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন রুটের ৩০০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের কাজ সম্পন্ন। এই ভায়াডাক্টের উপরই লাইন পাতার কাজ সম্পন্ন হবে। তারপরই ছুটবে বুলেট ট্রেন।
মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনটি (Bullet Train) ৫০৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। থামবে ১২টি স্টেশনে। এর মধ্যে ৯টি স্টেশন গুজরাটে। ৩টি মহারাষ্ট্রে। মুম্বই স্ট্রেশনটি তৈরি হবে মাটির তলায়। বাকি গুলি উপরে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হবে উন্নত প্রযুক্তি। জাপানি শিনকানসেন প্রযুক্তিতে চালানো হবে এই ট্রেনটি। ট্রেন লাইনটি তৈরি করছে ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন (NHSRCL)। সেই NHSRCL-ই জানাল, ইতিমধ্যেই ৩০০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের কাজ শেষ। এর মধ্যে ১৪টি নদীর উপর সেতু তৈরি হয়েছে, সাতটি তৈরি হয়েছে স্টিলের ব্রিজ। ২.৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে স্টেশন বিল্ডিং।
প্রাথমিকভাবে এই বুলেট ট্রেন প্রকল্প ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে একের পর এক প্রকল্প ডেডলাইন মিস করেছে। আপাতত ২০২৮-কে প্রকল্প শেষের ডেডলাইন হিসাবে দেখছে কেন্দ্র। রূপায়ণে বিলম্বের কারণে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের খরচ ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা পার করে যাবে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি। আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই হাই-স্পিড ট্রেন প্রকল্পে দেরি হওয়ার প্রধান কারণ জমি অধিগ্রহণে সমস্যা ও মাঝে দু’বছর কোভিড-এর জন্য কাজ বন্ধ হয়ে থাকা।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মুম্বই-আমেদাবাদ ৫০৮ কিমি দীর্ঘ পথে বুলেট ট্রেন চালানোর উদ্যোগ শুরু হয়। সেইসময় প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু, কাজে বিলম্বের কারণে সেই খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। প্রাথমিক হিসাবে জিএসটি-ছাড়া ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি।