সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গলায় দড়ির ফাঁস। বাড়ির ভিতর পরপর ঝুলছে দেহ। ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত এলাকাবাসী। শনিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ের ভিয়ন্দি এলাকার ফেনে গ্রামে। জানা যাচ্ছে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তিন কন্যা-সহ আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলা। হাড়হীম এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে দিল্লির বুরারিতে গণআত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাকে।
জানা গিয়েছে, তিন কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে ফেনে গ্রামে বাস করতেন লালজি বানওয়ারিলাল ভারতী। স্ত্রী পুনিতার পাশাপাশি তিন কন্যার বয়স যথাক্রমে চার, সাত ও বারো। পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার নাইট শিফট ছিল লালজির। সময়মতো কাজে চলে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে বাড়ির ভিতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে বাড়ির পিছনের ছোট জানালা দিয়ে ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে যান লালজি। দেখা যায়, ঘরের ভিতর পরপর ঝুলছে স্ত্রী ও কন্যাদের দেহ।
এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইন্দিরা গাবন্ধি উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। কেন ওই মহিলা কন্যাদের সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, মহিলার স্বামী লালজি ও প্রতিবেশীদের। বাড়ির ভিতর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে অবশ্য লেখা, আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন।
যদিও এই ধরনের গণআত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা এই প্রথমবার নয়, এর আগে একই ঘটনা সাক্ষী থেকেছিল দিল্লির বুরারি। ২০১৮ সালে ১ জুলাই দিল্লির বুরারির চুন্দাওয়াত পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। তাঁরা প্রত্যেকেই আত্মহত্যা করেছিল বলেই মনে করা হয়। তদন্তে পুলিশ সাইকোসিস ও শেয়ার্ড ডিলিউশন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে। মুম্বইয়ের ফেনে গ্রামের ঘটনায় সেই রকম কিছু বিষয় আছে কি না সেই দিকও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
