সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। গতকাল এগারো জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। বৃহস্পতিবার সকালের খবর---মোট মৃত ১৩ জন। বুধবারই জানা গিয়েছিল, ট্রেনে আগুন লেগেছে এই গুজব ছড়াতেই চেন টেনে গাড়ি থামান যাত্রীরা। আতঙ্কে অনেকে লাফ পার্শ্ববর্তী লাইনে। উলটো দিক থেকে আসা ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় পুষ্পক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের। এদিন এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করলেন, এক চাওয়ালাই ট্রেনে আগুন লাগার গুজব ছড়ান।
বুধবার বিকেলে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের পরধাড়ে স্টেশনের কাছে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। চলন্ত পুষ্পক এক্সপ্রেসে ছড়ায় আগুন লেগে যাওয়ার গুজব। তখনই চেন টেনে ট্রেন থামান যাত্রীরা। আতঙ্কে দ্রুত গাড়ি থেকে লাভ দেন অনেকে। ওই সময় পাশের লাইনে উলটো দিক থেকে আসছিল কর্নাটক এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও দুজনের। বাকিদের চিকিৎসা চলছে জলগাঁওয়ের সিভিল হাসপাতালে। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, এক চাওয়ালাই আগুন লাগার গুজব ছড়ান। এরপরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি বলেন, "এক চাওয়ালা ট্রেনে আগুন লেগেছে দাবি করে গুজব ছড়াতে শুরু করেন। তিনি নিজেই এমার্জেন্সি চেন টানেন। ট্রেনের গতি কমতেই জীবন বাঁচাতে অনেকেই গাড়ি থেকে লাফ দেন।" তিনি আরও জানান, যাঁরা ট্রেনের বাঁ দিকের দরজা দিয়ে লাফিয়েছিলেন, তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন। যেহেতু ওই পাশে রেলের ট্র্যাক ছিল না। ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁরা সামান্য চোট পেয়েছেন, তাঁরাও পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন।