সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের দিনেই অভিযোগ পালটা অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠল দিল্লি রাজনীতি। আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার ব্যবহার করে কারচুপির অভিযোগ তুলল বিজেপি। পালটা ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিজেপি টাকা বিলোচ্ছে বলে অভিযোগ করল আপ। ভোটগ্রহণ চলাকালীন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল সিলামপুর-সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র।
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আজ ১৩ হাজার পোলিং বুথে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। বেলা বাড়তেই সিলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে বিজেপি। দাবি করা হয় বাইরে থেকে মহিলাদের এনে বোরখা পরিয়ে ভুয়ো ভোট দেওয়ানো হচ্ছে। বিজেপির দাবি, স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা ভোট দিতে গেলে বলা হয়, তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগে ভোট কেন্দ্রের সামনে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও গালিগালাজ শুরু হয়। আপ-বিজেপির পাশাপাশি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেসও। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সব দলের কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে সিলামপুরের পাশাপাশি অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার কেন্দ্র জঙ্গপুরা ও চিরাগ দিল্লিতে। জঙ্গপুরা কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান মণীশ। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ভোটারদের অবাধে টাকা বিলোচ্ছে বিজেপি। একটি বাড়ি থেকে এই টাকা বিলি করা হচ্ছে। পুলিশ সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া বুধবার দিল্লির বেশিরভাগ কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সকাল থেকেই ভিভিআইপিদের ভিড় দেখা গিয়েছে ভোট কেন্দ্রগুলিতে। ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় আরোরা, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। এছাড়াও সপরিবারে ভোট দিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সকাল ১১টা পর্যন্ত দিল্লিতে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
