সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্কের ভিতরে ঝুলছে ম্যানেজারের ঝুলন্ত দেহ! এমনই দৃশ্য ঘিরে চাঞ্চল্য পুণের বারামাটিতে। জানা গিয়েছে, কাজের চাপকেই মৃত্যুর জন্য দায়ী করে একটি নোটও লিখে গিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে মনে করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যাই করেছেন। তাঁর নাম শিবশংকর মিত্র। বয়স হয়েছিল ৫২। তবে তিনি সুইসাইড নোটে কারও নাম লিখে যাননি বলেই দাবি পুলিশের।
জানা গিয়েছে, গত ১১ জুলাই চিফ ম্যানেজারের পদ থেকে ইস্তফা দেন শিবশংকর। কারণ হিসেবে দেখান শারীরিক অসুস্থতা ও কাজের চাপকে। নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ দিন নোটিস পিরিয়ডে থাকতে হত তাঁকে। আর তার মধ্যেই তিনি নিজেকে শেষ করে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, গতকাল, শুক্রবার শিবশংকর ব্যাঙ্কের সমস্ত কর্মীকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। জানান, ব্যাঙ্কটি তিনি বন্ধ করবেন। এরপর সাড়ে ন'টা নাগাদ ওয়াচম্যানও চলে যান। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে দশটা নাগাদ শিবশংকর আত্মহত্যা করেন। এও জানা গিয়েছে, এক সহকর্মীকে তিনি দড়ি আনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
এদিকে মাঝরাত পেরিয়েও তিনি বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। ফোনেও সাড়া না পেয়ে তিনি ব্যাঙ্কে উপস্থিত হন। দেখতে পান ভিতরে আলো জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের কর্মীদের খবর দিলে তাঁরা এসে দরজা খোলেন। তখনই দেখা যায় ব্যাঙ্কের মধ্যে দড়ি থেকে তিনি ঝুলছেন। তবে সুইসাইড নোটে তিনি কাউকে দায়ী করেননি বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কেউ আলাদা করে তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টা নিয়েই তদন্ত করছে পুলিশ।
