নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) এবং এক দেশ এক ভোট। বিজেপির ইস্তেহারে সংঘের দীর্ঘদিনের এজেন্ডা পূরণের প্রতিশ্রুতি। রবিবার ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন, বিজেপি মনে করে দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়া প্রয়োজন।
রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বাতিল এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু। বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের দীর্ঘদিনের এই ৩ এজেন্ডার দুটি ইতিমধ্যেই পূরণ হয়েছে। এবার পালা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির। এক দেশ, দুই নিশান, দুই বিধান হতে পারে না, বিজেপির এই সংকল্প দীর্ঘদিনের। সেটা পূরণ করতে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্য ইতিমধ্যেই স্থানীয় স্তরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করছে গেরুয়া শিবির। এবার নির্বাচিত হলে কেন্দ্রীয় স্তরে সেটা করার ব্যাপারে ভাবা হবে বলে জানিয়ে দিলেন মোদি (Narendra Modi)।
[আরও পড়ুন: স্লিপার সেল, রাঁচিতেও আইএস মডিউলের হদিশ! কাঁথিতে ধৃত জঙ্গিদের জেরায় বিস্ফোরক তথ্য]
এক দেশ-এক নির্বাচন। এটাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এক দেশ-এক নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র একটি কমিটি গড়েছে। বিজেপির লক্ষ্য ২০২৯ সালের মধ্যে গোটা দেশের সব রাজ্যের বিধানসভা এবং লোকসভা ভোট একসঙ্গে করা। ইস্তেহারেও রয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, "এক দেশ এক নির্বাচনের ধারণাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আমরা সর্বতভাবে চেষ্টা করব।"
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে হামলা ইরানের, আপৎকালীন বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রসংঘ! ফোনে কথা নেতানিয়াহু-বাইডেনের]
বিজেপি সূত্রের দাবি, ২০২৪-এ সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের অঙ্ক এড়াতে চাইছে বিজেপি। যাতে জনমানসে মোদির ভাবমূর্তিতে আঘাত না লাগে। সরাসরি রাম মন্দিরের মতো কাশী-মথুরার মন্দির তৈরির প্রসঙ্গ এবার এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আসলে বিজেপি মনে করছে, রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পর এমনিই হিন্দুত্বের হাওয়া থাকবে। তাই ইস্তেহারে সরাসরি অন্য কোনও মন্দির নির্মাণ রাখা হচ্ছে না। বরং সাংস্কৃতিক দিক থেকে সূক্ষভাবে বিভাজনের ইস্যুগুলি উসকে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,"দেশের স্বার্থে বড় এবং কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না বিজেপি।"