সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর। উত্তরপূর্বের রাজ্যের জিরিবাম জেলার তিনজন মেতেই সম্প্রদায়ের মহিলার দেহ শুক্রবার অসমের শিলচরের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশুকে গত সোমবারই অপহরণ করা হয়েছিল। নিখোঁজ তিন শিশুর সন্ধান মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। নিহত তিন মহিলাই ওই অপহৃত মহিলা কিনা তা এখনও জানা যায়নি। মহিলা ও শিশুদের অপহরণে অভিযুক্ত কুকি জঙ্গিরা।
ঠিক কী হয়েছিল? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় লাইশরম হেরোজিৎ নামের এক শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের কুকি জঙ্গিরা অপহরণ করে গত সোমবার। হেরোজিতের কথায়, ''ও (ব্যক্তির স্ত্রী) ফোনে কাঁদছিল। ওর কাছ থেকেই জানতে পারি ওদের ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। এর পরই ফোনটা কেটে গেল। পরে ফোন করে দেখলাম মোবাইল সুইচড অফ। আমার শাশুড়ির ফোনটাও বন্ধ রয়েছে। ঘণ্টাখানেক পরে আমার এক বাঙালি বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি, ও দেখেছে আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি-সহ তিনজনকে বোটে করে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা।''
গত শুক্রবার জিরবাম থেকে ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে তিন মহিলার দেহ। দেহগুলি এখনও শনাক্ত করা হয়নি। এই তিন মহিলাই ওই নিখোঁজ মহিলা কিনা তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এদিকে নিখোঁজ তিন শিশুর সন্ধান এখনও মেলেনি। তাদের মধ্যে দুটি শিশু হেরোজিতের সন্তান।
এদিকে জিরিবামে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। গত সপ্তাহেই কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফের এনকাউন্টারে ১০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই মণিপুরে নতুন করে উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি।