সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের চাপ এবং সমালোচনার মধ্যে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ তৈরির তোড়জোড় শুরু করল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য জমি দেখার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জমি শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলি নিয়ে মনমোহনের পরিবারের আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, যমুনা নদীর ধারে রাজঘাট, রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থল ও কিসান ঘাটে এক থেকে দেড় একরের মতো তিনটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজঘাটের কাছে যেখানে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রয়েছে তার কাছের একটি জমিতে স্মৃতিসৌধ তৈরির সম্ভাবনা বেশি। তবে বিকল্প হিসাবে চৌধুরী চরণ সিংয়ের স্মৃতিসৌধের কাছেও জায়গা দেখে রাখা হয়েছে। জমি চিহ্নিত করার পরে এ ব্যাপারে মনমোহনের পরিবারের মত চাওয়া হয়েছে। পরিবার যেখানে চাইবে সেখানেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে।
শুরুতে কেন্দ্র মনমোহনের স্মৃতিসৌধ করা নিয়ে কোনওরকম ঘোষণা করেনি। তাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে দাবি করেন, রাজঘাটের আশেপাশে কোথাও জমি নির্দিষ্ট করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমাধিস্থল তৈরি হোক। একপ্রকার চাপে পড়ে সেই দাবি মেনে নেয় অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু যেখানে স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষকৃত্য হয়েছে নিগমবোধ ঘাটে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী। রাহুলের সাফ কথা, “মনমোহন সিং সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থল’ পাওয়ার যোগ্য। এটুকু সম্মান সরকার দেখাতে পারত। নিগমবোধ শ্মশানে শেষকৃত্য করে দেশের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছে মোদি সরকার।”
যদিও এ নিয়ে পালটা এসেছে বিজেপির তরফেও। বিজেপি অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস জীবিত অবস্থাতেই মনমোহনকে অপমান করেছে। এখন এ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। শুধু স্মৃতিসৌধ তৈরি নয়, মনমোহনকে ভারতরত্ন দেওয়ার ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই সরকারের শীর্ষস্তরে এ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।