হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: নাগরিকদের মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'সেফ সিটি' প্রকল্প এক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। যোগী সরকারের এই প্রচেষ্টা উত্তরপ্রদেশে নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। নারী, শিশু ও প্রবীণদের সুরক্ষায় 'সেফ সিটি' এক প্রশংসাযোগ্য কার্যনীতি। রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই এক ব্যতিক্রমী নজির তৈরি করেছে।
ডিজিপি রাজীব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আনুকূল্যে 'সেফ সিটি' প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হয়েছে। এখানে নারীর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১৭টি পৌর কর্পোরেশন এলাকা এবং গৌতম বুদ্ধ নগরে এই প্রকল্প চালু রয়েছে। এর লক্ষ্য হল নারী, শিশু, প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান যে, এই মুহূর্তে 'সেফ সিটি' প্রকল্পের আওতায় যে অঞ্চলগুলি রয়েছে, সেখানে ১০০টি পিঙ্ক পুলিশ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই বুথগুলি মহিলা পুলিশরা পরিচালনা করেন। রাতের টহল জোরদার করতে জিপিএস-যুক্ত ১০০টি পিঙ্ক স্কুটি এবং ১০টি পিঙ্ক স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও দ্রুত জরুরি পরিষেবার জন্য '১০৯০' এবং 'ইউপি-১১২' হেল্পলাইন খোলা হয়েছে। পুলিশ কর্মী, সরকারি ও বেসরকারি কর্মী, নিরাপত্তা রক্ষী, ছাত্র এবং শিক্ষক সহ প্রায় ৫৪,০০০ এরও বেশি ব্যক্তিকে নারীর নিরাপত্তা প্রদানে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশনায়, 'সেফ সিটি' প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। এলইডি ভ্যান, ডিজিটাল ওয়াল পেন্টিং, পথনাটিকা এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নারী সুরক্ষায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্যেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
৪১৫০টি অন্ধকার স্থান চিহ্নিত করে সেগুলোকে আলোকিত করা হয়েছে। নজরদারির জন্য ৪৭৪২২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবেদনশীল হটস্পটে পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষ ভীষণ উপকৃত হবেন এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
