shono
Advertisement

সীমান্তে মোতায়েন চিনা যুদ্ধবিমান, আশঙ্কার কথা শোনালেন বায়ুসেনা প্রধান

'উড়ন্ত কফিন' মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন বায়ুসেনা প্রধান।
Posted: 01:46 PM Oct 05, 2021Updated: 02:04 PM Oct 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান (Galwan) সংঘর্ষের পর বছর ঘুরলেও অবস্থান বদল করেনি চিন। এখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে পড়শি দেশটি। প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ উসকে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লখিমপুরের ঘটনা নীরব কেন মোদি? মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রশ্ন শিব সেনার]

অক্টোবরের ৮ তারিখ ভারতীয় বায়ুসেনার ৮৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনায় যোগ দেন বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চিনা যুদ্ধবিমান মজুত রয়েছে। সেইমতো আমরাও ফৌজ মোতায়েন করেছি।” এদিকে, ‘উড়ন্ত কফিন’ মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন বায়ুসেনা প্রধান। তিনি বলেন, “দেখুন বেশ কয়েকটি মিগ-২১ বিমান যে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে সেই কথা অস্বীকার করা যায় না। বর্তমানে আমাদের হতে মিগ-২১ বিমানের চারটি স্কোয়াড্রন রয়েছে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ওই বিমানগুলির সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।”

বলে রাখা ভাল, লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনীর আগ্রাসন রুখতে ‘কে-৯ বজ্র’ মোতায়েন করল ভারত। এবার পাহাড়ি অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লালফৌজের ঘাঁটিগুলি এই অত্যাধুনিক ও বিধ্বংসী কামানের নিশানায় থাকবে। গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরও পূর্ব লাদাখে আগ্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। ফলে পালটা জবাব দিতে এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তৎপর হয়েছে ভারত। গত শনিবার ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে জানান, সীমান্তে ‘কে-৯ বজ্র’ কামানের একটি রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে থাকা চিনা সেনঘাঁটিগুলি এই কামানের আওতায় থাকছে।

উল্লেখ্য, সীমান্ত নিয়ে গতবছর থেকেই ভারত ও চিনের (China) সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। দু’পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরও এখনও সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানের একটি বক্তব্যের পর সেকথাই ফের প্রমাণিত হল। দু’দেশের সেনা একাধিকবার আলোচনাতে বসলেও এখনও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেই চলেছে চিন। সম্প্রতি সেকথাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান নারাভানে। গোগরা ও হটস্প্রিং থেকে অস্থায়ী ছাউনি তুলে নিয়ে গিয়েছিল চিনা ফৌজ। সেনা পিছনোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। শেষবার সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে দুই দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উলটো ছবি।

[আরও পড়ুন: লখিমপুরের হিংসায় খালিস্তানি যোগ! চাঞ্চল্যকর দাবি নিহত কৃষকদের পরিবারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement