সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি তরুণীর সঙ্গে বিয়ে গোপন করা এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও স্ত্রীকে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগে শনিবার সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) জওয়ান মুনির আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়। রবিবার মুনির দাবি করলেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। ঠিক কী তিনি?
বাহিনীর সিদ্ধান্তে বেজায় অবাক হয়েছেন মুনির। তাঁর দাবি, বিয়ের কথা বাহিনীকে জানিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, "আমি জানিয়েছিলাম (দপ্তরকে)। আমার কাছে প্রমাণ আছে। যথাযথ মাধ্যম হয়েই জানানো হয়েছিল এবং নথিপত্রও দেওয়া হয়েছিল।" মোদি ও অমিত শাহ-র কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, "একজন জওয়ান হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ)-র কাছে বলতে চাই, আমাকে ন্যায়বিচার দিতেই হবে। আমার ২০২৪ সালে বিয়ে হয়েছে এবং ২০২২ সাল থেকে দপ্তরকে সে কথা বলে আসছি। এ বার বলুন, এখানে বেআইনি কী করেছি?”
জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল খানের আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা হয় অনলাইনে। বিয়ে হয় ২০২৪-এর মে মাসে। অনলাইনে ভারচুয়াল ‘নিকাহ’ করেন মুনির ও মিনাল। গত মার্চ মাসে ভারতে আসেন মিনাল। ওই মাসের ২২ তারিখে তাঁর ভিসা ফুরিয়ে যায়। মিনালের আইনজীবী দাবি করেন, দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করেছেন মক্কেল। এর মধ্যে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলা হয়। যার পর পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরতে বলা হয়। বাধ্য হয়ে অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফিরছিলেন মিনাল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে ভারতে থাকার অনুমতি পান তিনি।
মুনির আহমেদ যাবতীয় তথ্য দেওয়ার কথা বললেও সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, পাক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের বিষয়টা চেপে গিয়েছিলেন জওয়ান। ভিসার মেয়াদ ফুরানোর পরেও তাঁর ভারতে থেকে যাওয়ার বিষয়টিও জানাননি। এই ধরনের কার্যকলাপ সন্দেহজনক, এমনকী জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিবহুল। সেই কারণেই অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
